চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আকতারুল করিম রুবেলকে রিমান্ড ফেরত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার এক দিনের রিমান্ড ফেরত আকতারুলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার (নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি) এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারীর করা মামলায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ শাহাবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মো. নিজাম উদ্দিন জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সাঈদ তার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ জুলাই আকতারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।
মামলাার নথি থেকে জানা যায়, মামলার বাদী মনির হোসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত। মনির ও তার সহকর্মী মো. সোহেল ও হারুন নাস্তা করার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল থেকে ২৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে আনন্দবাজার খাবার হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন।
এ সময় আকতারুলসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বাদীর গতিরোধ করে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
মামলার বাদি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা কাঠ ও রড দিয়ে মারাত্মক আঘাত করেন।
তখন বাদীকে বাঁচাতে তার সহকর্মীরা এগিয়ে এলে তাহাদেরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আসামি আকতারুলকে আটক করলেও অন্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যান।
আকতারুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।