বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুক্তিতে গুলি করে পালায় তারা দুর্গম অঞ্চলে

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২১ ১৬:০৩

ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে শনাক্ত করা হয় সাহাজাহান ওরফে সাবুকে। প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় অভিযান চলে।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যেত দুর্গম অঞ্চলে। পরে সুবিধাজনক সময়ে ফিরে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। এমন একটি অপরাধী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) একটি টিম অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে তিনজনকে। গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন- মো. সাহজামান ওরফে বাবু, মো. দুলাল প্যাদা ওরফে জিএমপি দুলাল ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন। তাদের কাছে পাওয়া গেছে একটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও তিন হাজার পিস ইয়াবা।

ডিবির গুলশান বিভাগের টিম ক্যান্টনমেন্ট থানার আরব আলী হত্যা চেষ্টার ঘটনা তদন্তে নেমে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় খুঁজে পায় পলাতক আসামি সাহজামানকে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পেরেছে তাদের নানা কর্মকান্ড ও পালানোর কৌশল।

সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার বিষয়ে তথ্য জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ডিবির প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে জানান, অস্ত্র ও মাদকসহ তিনজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম- সাহজামান ওরফে বাবু, দুলাল প্যাদা ও সাইফুল ইসলাম সুজন।

হাফিজ আক্তার আরও জানান, ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেছিলেন আরব আলী নামের ঠিকাদার। গত ১৫ মার্চ এলাকার লোকজন টাকা সংগ্রহ করে তাকে ৮০ ফুট প্রশস্ত একটি সুয়ারেজ ড্রেন তৈরীর কাজ দিয়েছিলেন। এরপর কয়েকজন সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করে ঠিকাদারকে হুমকি দিতে থাকে। চাঁদা দিতে অস্বীকায় করায় ক্ষিপ্ত সন্ত্রাসীরা ৩০ মার্চ দুপুরে আরব আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে গুলি করে। ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন আরব আলী।

ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে শনাক্ত করা হয় সাহাজাহান ওরফে সাবুকে। প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় অভিযান চলে। সাবুকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যে কালশী বাউনিয়াবাধের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ৬ চেম্বার বিশিষ্ট একটি রিভলবার। সেখানে এক হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

পরে কালশী এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় দুলাল ও সাইফুলকে। তাদের কাছে পাওয়া যায় একটি পিস্তল ও দুই হাজার পিস ইয়াবা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা বিভিন্ন সময় চুক্তির মাধ্যমে কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে। তারা এলাকায় মাদকের বিস্তৃতি ঘটাতে ও চাঁদাবাজির জন্য বিশেষ টিম গঠন করেছে। ভাষানটেক, কালশী, ক্যান্টনমেন্ট, মাটিকাটা এলাকায় চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা মাঝে মাঝেই অস্ত্র ব্যবহার করে। বিশেষ এ অপরাধী চক্রের ৮-১০ জনের নাম পেয়েছে পুলিশ। তা যাচাই করা হচ্ছে।

এলাকায় সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ, মাটি ভরাট, জমি দখলের কাজের জন্য তারা বিভিন্নজনকে ভয় দেখাতো। গুলির ঘটনা ঘটিয়ে তারা দুর্গম চরাঞ্চলে কিছুদিন পালিয়ে থাকতো। বিভিন্ন সময়ে তারা কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ে অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়। বিদেশে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ইব্রাহীম ও যুবরাজের হয়ে তারা কাজ করে।

তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে তা যাচাই করছে পুলিশ। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর পল্লবী থানায় নতুন করে তিনটি মামলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর