বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমরা মানুষের ছাদে উঠতে পারি না: তাপস

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২১ ১৭:২৫

সিটি করপোরেশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করে মেয়র বলেন, ‘এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে তথ্য দিন। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে লাভ হয় না। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন।’

রোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে নয়, ডেঙ্গু মশার লার্ভা পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার সকালে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা ম্যাচ কলোনির জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তাপস এ আহ্বান জানান।

‘আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারি না’ উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, ছাদে কোথাও পানি জমে আছে। আপনি যদি নিজে পরিস্কার না করতে পারেন, আমাদেরকে জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দেবো। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, কোনো প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে আছে, আপনাদের তাকে দিয়ে পরিস্কার না করাতে পারেন, তাহলে আমাদেরকে জানান। আমরা কাউন্সিলরসহ উপস্থিত হবো, আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত হবে। আমরা করে দেবো।’

শুধু সিটি করপোরেশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করে মেয়র বলেন, ‘এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে তথ্য দিন। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে লাভ হয় না। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন।’

‘এডিস মশা বাড়ির আঙিনায়, বাসাবাড়িতে হয়, ফুলের টবে হয়, ছোট বড় যে কোন পাত্রে হয়। যেখানেই বৃষ্টির পানি এসে জমে বা পানি জমা হওয়ার সুযোগ থাকে সেখানেই কিন্তু এডিস মশার প্রজনন হয়ে থাকে। আপনাদের মেয়র হিসেবে, আপনাদের সেবক হিসেবে—আমি ঢাকাবাসীর প্রতি এটুকু নিবেদন করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিন।’

নিজেদের জনবল আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের যে প্রতিকূল অবস্থা তার মধ্যে পূর্ণশক্তি আমরা প্রয়োগ করে রেখেছি। আমাদের কীটনাশক আছে, আমাদের জনবল আছে, আমাদের যন্ত্রপাতি আছে, আমাদের সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে, নিষ্ঠা আছে। সব মিলিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।’

তাপস নগরীর ৫৯, ৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর