দক্ষিণ ঢাকাকে কেন্দ্র করে এক বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। এই বিষয়ে পরামর্শক কমিটি নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার করপোরেশনের বুড়িগঙ্গা হলে ডিএসসিসির দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত মহাপরিকল্পনা (ইন্ট্রিগ্রেটেড মাস্টারপ্ল্যান ফর ঢাকা সিটি) প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও করপোরেশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রথম মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যৌথ-উদ্যোগে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও সাতত্ত্ব আর্কিটেক্টকে ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান ফর ঢাকা সিটি প্রণয়নে গত ২৪ জুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। ১২ মাস মেয়াদে এই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে তাদেরকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়।
তাপস বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন থেকে এই প্রথম সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের যে অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলো রয়েছে, যেমন—কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা প্রতিষ্ঠা করা, নতুন আবাসিক এলাকা (টাউনশিপ) গড়ে তোলা, নদীর পাড় ঘেঁষে প্রশস্ত সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, খালগুলো সংরক্ষণ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবভিত্তিক সমাধানসহ নাগরিক সমস্যার টেকসই সমাধানে পরিকল্পনা প্রয়োজন।’
ঢাকাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য সংস্থাগুলো যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ বা প্রণয়ন করেছে সেসব মহাপরিকল্পনা আমাদের এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় সুষমভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তাপস।
আইন অনুযায়ী, নগরীর মহাপরিকল্পনার জন্য করপোরেশন দায়িত্বপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম করপোরেশন হতে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই একটি উন্নত ও আধুনিক মহানগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এই মহাপরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় সব বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ওয়ার্ডভিত্তিক সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আপনারা আমাদের মহাপরিকল্পনায় জমির যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা, সড়ক ব্যবস্থাপনা মহাপরিকল্পনা, নর্দমা অন্তর্জাল মহাপরিকল্পনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মহাপরিকল্পনা এবং সামাজিক সুবিধাদিসহ নগরবাসীর সামগ্রিক প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন।’
এ সময় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলামসহ কর্পোরেশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এবং চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দুটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।