রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকায় স্ত্রী-মেয়েকে মুখে বিষ দিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় মোহন্দ্র চন্দ্র দাস আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসা শেষে মোহন্দ্র চন্দ্র দাসকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম।
আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর মোহন্দ্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন আদালতের কামরাঙ্গীরচর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য মো. শরিফ হোসেন।
এর আগে রোববার মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে তার বড় মেয়ে ঝুমা রাণী দাস আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শুক্রবার রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস এবং তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রাণী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস।
এর পর মোহন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমী রাণী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ১৪ বছর বয়সী ঝুমা রানী দাস ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন। শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।