হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে সৌদি রিয়াল, ইউরো, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহামসহ আটটি দেশের মুদ্রা উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে ০৬৯৪ ফ্লাইটে ওঠার আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মুদ্রাগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি যাত্রীকে আটক করা হয়।
ওই যাত্রীর নাম জাহাঙ্গীর গাজী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরে। একসময় তিনি কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
পুলিশের ভাষ্য, মুদ্রাগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে বিদেশে নেয়া হচ্ছিল।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে সকাল সাড়ে ৬টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটা ফ্লাইট ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রী জাহাঙ্গীর গাজীকে সর্বশেষ চেকিং গেট আইনেস গেটে আটক করি। আটক করে তাকে প্রথমে চ্যালেঞ্জ করা হলে সে প্রথমে অস্বীকার করে। প্রথমে তার শরীরে ৫০ হাজার রিয়ালের মতো পাওয়া যায়।
‘যখন আমরা স্ক্যানিং করা শুরু করি, তখন আমরা তার কাছে বিশেষ ব্যবস্থায় কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় প্রায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়ালসহ আটটি দেশের মুদ্রা উদ্ধার করি, যা তিনি পাচার করার চেষ্টা করছিলেন। পরবর্তীতে আমরা তাকে আমাদের অফিসে নিয়ে আসি এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ভালোভাবে চেক করা হয়। তল্লাশি করা শেষে তার কাছে সর্বমোট বাংলাদেশি টাকার আড়াই কোটি টাকা মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা আমরা উদ্ধার করি।’
জাহাঙ্গীরের বিষয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাঙ্গীর গাজী ছিলেন একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তার পাসপোর্ট চেক করে দেখা গেছে, গত দুই বছরে তিনি ১২৮ থেকে ১৩০ বারের মতো বিদেশে যাওয়া-আসা করেছেন। এর মধ্যে তিনি দুবাই, আবুধাবি, টার্কি, ইজিপ্ট ও ব্যাংকক গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কমার্শিয়াল যাত্রী হিসেবে যাওয়া-আসা করেন। লাগেজ সুবিধাটি নিয়ে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন।’
জাহাঙ্গীর কোনো চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই বড় অ্যামাউন্টের কারেন্সি তার কাছে থাকার কথা না। অবশ্যই তিনি একটা চক্রের সদস্য বলে আমরা মনে করি।
‘টার্কি ইদানিং জঙ্গিবাদের বিষয়টাকে স্পন্সর করছে। এ রকম কোনো অর্থায়নের বিষয় আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পুলিশ আরও জানায়, জাহাঙ্গীরকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তা বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করবেন।