করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ-পরবর্তী শাটডাউনের চতুর্থ দিনে সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে। তবে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে দেখা যায়নি কড়াকড়ি।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে কর্মস্থলে যেতে বাসা থেকে বের হতে হয়েছে লোকজনকে। সড়কে বেরিয়ে গাড়ির জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজ গেট, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল, উত্তরা ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় অফিসগামী মানুষ গাড়ির অপেক্ষায় আছেন। তাদের মধ্যে সৌভাগ্যবানরা অফিসের গাড়িতে করে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পেরেছেন। বাকিদের জন্য ছিল দীর্ঘ অপেক্ষা। যিনি রিকশাতেও চড়তে পারেননি, তিনি শেষ ভরসা হিসেবে হেঁটে রওনা হয়েছেন।
উত্তরা থেকে গুলশান আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইব্রাহিম আলী (ছদ্মনাম) নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তরা থেকে গত কয়েক দিন শুধু রাজলক্ষ্মীর সামনে চেকপোস্ট দেখেছি। আজকে দেখলাম বিমানবন্দরের সামনে একটা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
‘এদিকে গুলশান চেকপোস্টে দেখি প্রাইভেট কারের দীর্ঘ লাইন। মানুষও অন্য দিনের তুলনায় বেশি আজ।’
সড়কে গণপরিবহন বলতে শুধু রিকশা থাকায় চালকরা এর সুযোগ নিচ্ছেন বলে দাবি করছেন অনেকে। তারা বলছেন, রিকশা ভাড়া বেশি চাওয়ায় চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
পার্থ বিশ্বাস নামের একজন বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। বাসা শ্যামপুর। অফিস বাংলামোটর। অফিস থেকে গাড়ি দেয় নাই এই মহামারিতে।
‘প্রতিদিন আমাকে যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। রিকশাওয়ালারা লকডাউনের সুযোগ নিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত যিনি বেশি ভাড়া চাইবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।’
সকালের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক মো. নজরুল বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে এখানে অবস্থান করেছি। সরকারের নিয়ম মেনেই লকডাউন চলছে।’
রাস্তায় মানুষ ও গাড়ি বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার, সাংবাদিকসহ যে সকল পেশার মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার কথা তারাই বের হচ্ছেন। বিনা প্রয়জনে মানুষ তেমন বের হচ্ছে না।’
চেকপোস্ট আছে, পুলিশ নেই
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর, মধ্য বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হলেও সেখানে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
অনেক চেকপোস্টে পুলিশকে আড্ডা দিতে, চা পান করতে দেখা যায়। তবে গাড়ি চেক করতে দেখা যায়নি।
আবার কিছু কিছু চেকপোস্টে নিয়ম মেনেই চেক করা হচ্ছে।