ঢাকার ১৭টি স্থানকে ডেঙ্গুর হটস্পট বিবেচনা করে সোমবার থেকে ওষুধ ছিটাতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সচিবালয়ে রোববার ডেঙ্গু ইস্যুতে আয়োজিত জরুরি বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রতিবেদনকে আমলে নিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার রামপুরা, মহাখালী, মগবাজার, সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর, ক্যান্টনম্যান্ট, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, পল্টন, খিলগাঁও, মিরপুর, বসুন্ধরা, মুগদা, বাসাবো, সবুজবাগ, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর- এই ১৭টি স্থানকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ঢাকার দুই মেয়রকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই জায়গাগুলোকে হটস্পট হিসেবে বিবেচনা করে আগামীকাল (সোমবার) থেকে তাৎক্ষণিক মশা নিধনের ওষুধ দেবেন।’
এডিসসহ অন্যান্য মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রোগীর নাম ঠিকানা নিয়ে আক্রান্তের বাসাসহ ওই অঞ্চল চিহ্নিত করে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গঠিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেলে এবং দুই সিটি করপোরেশনে তার নাম ঠিকানা পাঠাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘নিয়মিত মশক নিধন অভিযানের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি যে হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার আমাদের সেলে এবং সিটি কর্পোরেশনে পাঠালে ঐ ব্যক্তির বাসা-বাড়ি চিহ্নিত করে পুরো এলাকায় বিশেষ মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’