রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা ও বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাস।
রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝুমা রানীকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমান জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এ সময় আসামিপক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না মামলার একমাত্র আসামি মোহন্দ্র চন্দ্রও। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আসামি অসুস্থ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঝুমা রানীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস ও ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস।
এ ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচর থানায় হত্যা ও আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে মোহন্দ্রকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস।
ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ঝুমা রানী দাস ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান, তার বাবা বোন সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন।
ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়।