করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের পরে দেয়া সবচেয়ে কঠোর শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ ভেঙে বাসা থেকে বের হওয়ায় রাজধানীতে ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা।
শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিধিনিষেধ না মানায় মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮৩ জনকে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা। সড়কে ৪৪১টি গাড়ির মালিককে জরিমানা করা হয়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
সারা দেশে র্যাবের ১৮০টি টহল ও ১৮৬টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এলিট ফোর্সটি। বিধিনিষেধ অমান্য করায় দেশব্যাপী পরিচালিত ২৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২১২ জনকে ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৪৭ টাকা জরিমানা করা হয়।
শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে বিনা মূল্যে দেড় হাজারের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়।
এদিকে শুক্রবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের প্রথম দিনে বিধিনিষেধ ভেঙে বের হওয়ায় রাজধানীতে ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় জরিমানা আদায় হয় প্রায় পৌনে ১২ লাখ টাকা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিধিনিষেধ না মানায় মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০৩ জনকে। এ ছাড়া মোবাইল কোর্টে ২০৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা। সড়কে ৪৪১টি গাড়ির মালিককে জরিমানা করা হয়েছে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা।
ঈদের ছুটি শেষে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার থেকেই দেশজুড়ে আবারও দুই সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে।
মানুষের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে এবারের বিধিনিষেধ ‘সবচেয়ে কঠোর’ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।