ঈদ-পরবর্তী শাটডাউনের দ্বিতীয় দিন সকালে ছিল হালকা বৃষ্টি। এর মধ্যে শনিবার সরকারি ছুটির দিন। স্বাভাবিক কারণেই সকাল থেকে যানবাহন ও মানুষের চলাচল কম রাজধানীর সড়কে। চেকপোস্টগুলোতেও নেই তেমন কড়াকড়ি।
সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজ গেট, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল, উত্তরা ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় মানুষ কম। যানবাহন বলতে রিকশা ও প্রাইভেট কার।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মেহরিন জাহান বলেন, ‘উত্তরা থেকে বাড্ডা আসার সময় রাজলক্ষ্মীর সামনে একটা চেকপোস্ট পাই। আর বাড্ডা এসে মধ্যবাড্ডা ইউলুপের সামনে আরেকটা চেকপোস্ট। রাস্তায় তেমন মানুষ নাই।
‘চেকপোস্টেও চলছে ঢিলেঢালা নজরদারি। সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে সবাই আয়েশ করে ঘুমাবে।’
মহাখালীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইমরোজ শাহরিয়ার। তিনি এসেছেন আমিন বাজার থেকে।
অফিসের গাড়িতে কর্মক্ষেত্রে আসা এ ব্যক্তি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাবতলী ব্রিজের গোড়ায় একটা চেকপোস্ট রয়েছে। তবে পুলিশের অবস্থান সেখানে ঢিলেঢালা। রাস্তায় মানুষ তেমন নাই বললেই চলে।’
রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আরোপ করা সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রাস্তায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিজিবি।
সকালে কারওয়ান বাজার পাইকারি মার্কেটে একটু ভিড় দেখা যায়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি তেমন কাউকে মানতে দেখা যায়নি। চেকপোস্টও কিছুটা ঢিলেঢালা। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও সাধারণ মানুষকে তেমন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমন বলেন, ‘সকাল থেকে গাড়ি ও মানুষের চাপ দুইটাই কম। রাস্তায় যে দুই-চারজন মানুষ দেখা যায়, তারা জরুরি সেবার আওতায়। এই যে দেখেন, ওনার বাইক থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি একজন হাসপাতালের কর্মী। সকাল থেকে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নাই বললেই চলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে সব গাড়ি থামিয়ে চেক করছি। কাউকে এখনও বিশেষ কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে দেখি নাই। আমরা সরকারের নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’