রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার ওই বাড়ি থেকে শনিবার সকালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
যারা মারা গেছেন তারা হলেন ফুল বাসি দাস ও তার ১২ বছরের মেয়ে সুমি চন্দ্র দাস। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ফুল বাসির স্বামী মুকুন্দ্র চন্দ্র দাসকে।
মুকুন্দ্র এলাকায় ভ্যানগাড়িতে সবজি বিক্রি করেন।
পুলিশ জানায়, ভোর ৪টার দিকে কালুর বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে মা ও বোনকে অস্বাভাবিকভাবে অচেতন পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, তারা দুজন মৃত। তারাই পুলিশে খবর দেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মহিতুল আলম এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘মরদেহ বিছানায় পড়ে ছিল। আমরা ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আমরা মুকুন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা আসছেন বলে সকালে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুকুন্দ্র ও তার বড় মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুকুন্দ্র মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কথাবার্তা ঠিকমতো বলছেন না। তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত দুইজনের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহদুটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’