ঈদে পশু কোরবানির জন্য ৩০৭টি স্থান নির্ধারিত করে দিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে সেইসব স্থানে কোরবানির আগ্রহ নগরবাসীর ছিল না বললেই চলে। আর এই কথা জানিয়েছেন খোদ মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এক্ষেত্রে মেয়র বলেন আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানি দিতে হবে, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে অন্য কোথাও পশু কোরবানি দেয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের নগর ভবনে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসরণ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, এবার ঈদের প্রথম দিনেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় তিন লাখের বেশি পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। তবে উত্তর সিটির ২৭২টি নির্ধারিত স্থানে মাত্র ৪,১৪১টি কোরবানি হয়েছে।
ঈদের আগে নিউজবাংলা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেয়ার ব্যাপারে উত্তর সিটির অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছিল পারিবারিক সান্নিধ্য থেকে কেউ দূরের নির্ধারিত স্থানে যেতে চায় না। ঈদের দিনেও সেই চিত্রই দেখা গিয়েছে।
যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্ধারিত কোন স্থান রাখেনি। এক্ষেত্রে তারা পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, নগরবাসী নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে আগ্রহ দেখায় না। তাতে এমন ব্যর্থ উদ্যোগ নেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদের।
আতিকুল বলেন, নগরবাসীকে ঈদুল আজহায় যেখানে সেখানে পশু কোরবানি করা থেকে বিরত রাখার জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং প্রয়োজনে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে রাত ১২টার মধ্যেই ডিএনসিসি সমস্ত এলাকায় কোরবানির প্রথম দিনের ১১ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন বর্জ্যের শতভাগ সরাতে সফল হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কোরবানির পশুর হাটের পাশেই স্লটারিং হাউজ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
আতিকুল বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবছর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।