খাবার প্লেটে মাংসের অন্যতম অনুষঙ্গ সালাদ। আর এই সালাদ তৈরির উপকরণের মধ্যে রয়েছে শসা, টমেটো, গাজর ও কাঁচা মরিচ। ঈদের কাঁচাবাজারে তাই প্রভাব পড়েছে সালাদের উপকরণের দামে।
রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে সালাদ উপকরণের। যদিও অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অনেকটাই আগের মতো। শুক্রবার থেকে ফের লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। বৃষ্টিও অব্যাহত আছে। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজার নিয়ে রয়েছে কিছুটা উদ্বেগ।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি। গাজর ১৪০ টাকা, শসা দেশিটা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আর হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল খায়ের বলেন, ‘সালাদ দিয়ে গরুর মাংস খাইতে টেস্ট লাগে। এই জন্য শুসা, টমাটু, গাজরের দাম বাড়ছে। বাকি সব আগের দামই আছে।’
উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন সপ্তাহ আগে যে টমেটোর কেজি ছিল ৭০ টাকা, সেটির দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। শসা দেশিটা ৮০ টাকা, হাইব্রিড ৭০ টাকা। কচুরমুখী ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুরলতি ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, জালি আকারভেদে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাড্ডা বাজারের সবজি বিক্রেতা আক্কাছ আলী বলেন, ‘ঈদের পরের দিন বাজারে মানুষজন আসছে একেবারেই কম। তাই অনেকে দোকান খোলেনি। সবজির দাম ঈদের আগের দিনের মতোই আছে। শুধু শসা-টমেটোর দাম বেড়েছে।’
সাময়িক বিরতির পর শুক্রবার সকাল থেকে আবার শুরু হচ্ছে লকডাউন। এ কারণে অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার সেরে নিচ্ছেন। তবে তার প্রভাব তেমনটি পড়েনি কাঁচাবাজারে।
রাজধানীর বেশির ভাগ কাঁচাবাজারে দোকান ছিল বন্ধ, ক্রেতা উপস্থিতি কম। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে ভ্যানগাড়ি নিয়ে ঘুরেছেন অনেক সবজি বিক্রেতা।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের আগাম ঘোষণার কারণে চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তারা কিনে রেখেছেন ঈদের আগেই। তবে সবজি তেমনটা কিনে রাখছেন না।
কাউছার আহমেদ নামের একজন বলেন, ‘সবজি তো কিনে বেশি দিন রাখা যায় না। তা ছাড়া প্রতিদিন বাসার সামনেই সবজি পাওয়া যায়। এ কারণে সবজি কিনে রাখার প্রয়োজন বোধ করিনি।’
এদিকে ঈদের পরদিন মাছ-মাংসের বেচাবিক্রি একেবারে কম। মাছ কিছুটা বিক্রি হলেও মাংস ও মুরগির দোকান অধিকাংশই বন্ধ দেখা গেছে।