ঈদের সকাল থেকেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে পশু কোরবানি। মাংস কাটাকুটি করতে গিয়ে দা, চাকু, ছুরি ও পশুর লাথি ও শিংয়ের আঘাতে রাজধানীতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
আহতদের মধ্যে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুধু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১০০ জন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল হান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কোরবানির দিন হাত ও পাসহ বিভিন্ন স্থানে কাটা নিয়ে অনেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। এমন আহতদের সংখ্যা ৮০ থেকে ৯০ জনের মতো হবে। তাদের বেশির ভাগের বাম হাত কাটা ছিল। এসব আঘাত মূলত দা, চাকু, ছুরি ও পশুর লাথিতে পাওয়া। অধিকাংশ আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসা পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রাম থেকে আসা আনাড়ি, অপেশাদার কসাইয়ের পাশাপাশি অসাবধানতা কিংবা অসচেতনতার কারণে গতবারের মতই এবারও কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হওয়ার এসব ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে কারো হাত, কারো পা এমনকি কারো শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে। এগুলোর পাশাপাশি কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও কোরবানির কাজ করতে গিয়ে আহত হয়ে রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গুলশান-১ এলাকায় গরু জবাইয়ের আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা আমিনুল ইসলাম জানালেন, এর আগে তিনি কোনোদিন গুরু কোরবানি দেননি। গরু লাথিতে পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যত্রতত্র পশু কোরবানি না করতে সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু খোদ রাজধানীতেই ঈদের দিন ছিল নির্দেশনা অমান্যের প্রতিযোগিতা। সকালে ঢাকার পথে পথে দেখা গেছে পশু কোরবানির দৃশ্য। গলিপথ পেরিয়ে প্রধান সড়ক, এমনকি ফ্লাইওভারের মুখে দেখা গেছে কোরবানি দিতে।
বর্জ্য অপসারণ সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আগেই পশু কোরবানির জন্য ৩০৭টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে এসব স্থানে কোরবানি দিতে আগ্রহ কম নগরবাসীর।