বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদে ঢাকায় রাস্তা ফাঁকা

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২১ ১৭:১৬

ঈদের সকালে ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া রাজধানীতে চলেছে একেবারে কমসংখ্যক গণপরিবহন। এমনকি রিকশার দেখা মিলেছে কম।

করোনাভাইরাস মহামারিতে থেমে নেই ঈদের আমেজ। বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়েছেন। এ অবস্থায় রাজধানীর রাস্তা কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে। ঈদের দিনে ঢাকায় যানবাহন চলতে দেখা গেছে খুবই কম।

রাজধানী মূলত ফাঁকা হতে শুরু করে মঙ্গলবার থেকে। বিভিন্ন অফিস-আদালত ছুটি হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ ছুটতে থাকে বাড়ির দিকে। ঈদের আগের দিন ঢাকার কিছু এলাকায় যানজট তৈরি হয় শেষ সময়ের কেনাকাটায়। তবে ঈদের সকালে ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া রাজধানীতে চলেছে একেবারে কমসংখ্যক গণপরিবহন। এমনকি রিকশার দেখা মিলেছে কম।

করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন চলাকালেও রাজধানীতে যানবাহন চলেছে অনেক। ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করতেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করে মানুষজন। বর্তমানে রাস্তায় যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের উপস্থিতিও কম।

ঈদের দিন রাজধানীর প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায়, যানবাহনের উপস্থিতি একেবারেই হাতে গোনা। মাঝেমধ্যে দুই-একটি বাস দেখা যায়। রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার খুবই কম। প্রধান সড়কেও হচ্ছে পশু কোরবানি। তাই কোরবানির পশুকে ঘিরে মানুষের জটলা দেখা যায়। যেসব বাস চলছে তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।

মোহাম্মদপুর থেকে ছেড়ে আসা স্বাধীন বাসের ড্রাইভার মো. সাজু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দিন পরে তো আবার বাস বন্ধ হইয়া যাইব, তাই ঈদে না ঘুইরা বাস চালাই। কাইলকা থেইকাই ঢাকা ফাঁকা হইয়া গেছে। যাত্রী একটু কম হইলেও ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আরাম পাইতাছি।’

শুধু গাড়ির চালক নয়, ঈদের দিনে ‘অলস সময়’ রাস্তায় দায়িত্বপালন করা ট্রাফিক পুলিশেরও। রাস্তা ফাঁকা থাকায়, বেশির ভাগ সিগন্যালের ট্রাফিক পুলিশের কাজ নেই। তাই তারা পুলিশ বক্সে বসে আছে।

কারওয়ান বাজার সিগন্যালের পুলিশ বক্সে বসে ছিলেন ট্রাফিক পুলিশ মো. সোহেল ও মো. নজরুল। তারা বলেন, ঢাকার রাস্তা ঈদের আগের রাতে ফাঁকা হয়ে গেছে। আর আজকে তো একেবারেই যানবাহনশূন্য। তাই বসে আছি।

ঈদে বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘আমরা বাড়ি গেলে রাস্তায় ডিউটি করবে কে? কাউকে না কাউকে তো ডিউটি করতে হবে।’

ট্রাফিক পুলিশ সোহেল অনেকটা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘বাড়ি যাওয়াকে কোরবানি দিয়ে আপনাদের সেবায় রয়ে গেছি। ঈদে পরিবার রেখে রাস্তায় সময় কাটাচ্ছি, খারাপ লাগছে। তবে দায়িত্বে অবহেলা তো করা যাবে না।’

করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ঈদে বাড়ি গেছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। ঈদের এক দিন পরই ফের লকডাউনের ঘোষণা দেয়া আছে। তবে এর আগে কতজন ঢাকায় ফিরবেন, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।

ঈদের পর ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য না হলে রাজধানী এভাবে আরও কিছুদিন ফাঁকা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাস্তায় যাত্রী না থাকলে পরিবহন চলাচলও থাকবে কম।

এ বিভাগের আরো খবর