বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকার পথে পথে কোরবানি

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২১ ১৩:১৫

নগরবাসীর অধিকাংশই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ির সামনে, গ্যারেজে অথবা প্রধান সড়কের ধারে কোরবানি দিয়েছেন। অনেকেই মাংস কাটার কাজ করেছেন ফুটপাতে। সকালেই ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় রক্ত ও পানিতে একাকার।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যত্রতত্র পশু কোরবানি না করতে সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু খোদ রাজধানীতেই ঈদের দিন ছিল নির্দেশনা অমান্যের প্রতিযোগিতা। সকালে ঢাকার পথে পথে দেখা গেছে পশু কোরবানির দৃশ্য। গলিপথ পেরিয়ে প্রধান সড়ক, এমনকি ফ্লাইওভারের মুখে দেখা গেছে কোরবানি দিতে।

বর্জ্য অপসারণ সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আগেই পশু কোরবানির জন্য ৩০৭টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে এসব স্থানে কোরবানি দিতে আগ্রহ কম নগরবাসীর। বুধবার উত্তর সিটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন অলিগলি ও বাসার গ্যারেজে চলছে পশু কোরবানির কাজ। এমনকি প্রধান সড়ক ও ফ্লাইওভারের মুখেও পশু জবাই চলছে। বিষয়গুলো তদারকির জন্য দেখা যায়নি জনপ্রতিনিধিদের।

নিউজবাংলার প্রতিবেদক ও আলোকচিত্রী মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, নতুন বাজার এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিন ঘুরে দেখতে পান, ঘোষণা থাকলেও পশু কোরবানির জন্য নেই তেমন ব্যবস্থাপনা। দুই-একটি স্থান দেখা গেলেও সেসব জায়গা পশু কোরবানির জন্য অপ্রতুল।

নগরবাসীর অধিকাংশই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ির সামনে, গ্যারেজে অথবা প্রধান সড়কের ধারে কোরবানি দিয়েছেন। অনেকেই মাংস কাটার কাজ করেছেন ফুটপাতে। সকালেই ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা দেখা যায় রক্ত ও পানিতে একাকার।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবার কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ না করলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাগরিকদের সুবিধাজনক স্থানে কোরবানি দিতে বলে। সে ক্ষেত্রে রাস্তায় বর্জ্য ফেলে না রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।

রাজধানীর অনেক বাসিন্দা নিউজবাংলাকে জানান, তারা কোরবানি দেয়ার সময় পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্যে থাকতে চান। এ জন্য বেশির ভাগ বাসার আঙিনায় অথবা সামনে কোরবানি দেয়া হয়।

মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে রামপুরা বাজারের দিকে যেতে প্রধান সড়কের সঙ্গে দেখা যায় পশু কোরবানির নির্ধারিত স্থান। তবে সেখানে মাত্র দুটি গরু কোরবানি দেয়ার পর আর পশু জবাইয়ের জন্য জায়গা সংকুলান হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ বাসিন্দা নিজেদের বাসার সামনে সড়ক ব্যবহার করেছেন কোরবানির জন্য।

গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ কোরবানি হচ্ছে গলির রাস্তা ব্যবহার করে।

ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের দিনেই মেয়র ভাটারা এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা উদ্বোধন করবেন। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলতে পারেন।’

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে নাগরিকদের অনাগ্রহ রয়েছে। আগের বছরগুলোতে স্থান নির্ধারণ করলেও সেখানে কাউকে পশু কোরবানির জন্য নেয়া যায়নি। আবার বিপুল পরিমাণ পশু জবাইয়ের এ কাজে ব্যবস্থাপনাটা বেশ কঠিন। সমালোচনার বিষয় মাথায় রেখেই মেয়র ও কাউন্সিলররা পরিকল্পনা নেন পরিস্থিতি সামলাতে।

দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে আশ্বাস দিয়েছেন। একই আশাবাদ উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের।

এ বিভাগের আরো খবর