ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পশু কোরবানির পর কেউ যদি নিজের বাড়ির সামনে বর্জ্য ফেলে রাখেন, তাহলে ডিএনসিসির ময়লার গাড়ি সেখানে আরও বেশি বর্জ্য ফেলে আসবে।
মহাখালীতে ডিএনসিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে করোনা রোগীর জীবন রক্ষাকারী বাইপ্যাপ এবং হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবার সহযোগিতা নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় উত্তর সিটি করপোরেশনে সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবেন।’
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের তথ্য জানান মেয়র আতিক। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো: ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘কোরবানির পশুর বর্জ্যের কারণে যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরবাসীর মাঝে ইতোমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্জ্য রাখার ব্যাগ, ৫০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার করে ওজনের ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে।’
ডিএনসিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালিত হাসপাতালের বিষয়ে মেয়র আতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতকৃত দেশের সর্ববৃহৎ এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। মহামারির সময়ে এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা দেবে। মহামারী শেষে এটি সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে।
পরে ডিএনসিসি মেয়র বিজিএমইএর দেয়া বাইপ্যাপ সুবিধাসহ ১৫টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন এবং ৫০ হাজার মাস্ক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান এবং হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।