বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ শপিংয়ে বসুন্ধরা খাঁখাঁ

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ১৮:১৫

আড়ংয়ের এক সেলসম্যান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আড়ংয়ে আমি ৯ বছর ধরে কাজ করি। ঈদ উপলক্ষে এত কম বিক্রি আমি আর দেখিনি, যা সাধারণ সময়ের চাইতেও কম।’

রাত পোহালেই ঈদ। এই সময়ে কেনাকাটার ধুম পড়ার কথা। কিন্তু শপিংয়ে রাজধানীর অন্যতম কেন্দ্র পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে এর ছিটেফোঁটাও নেই। ক্রেতার অভাবে অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা।

দোকানিরা বলছেন, সাধারণত কোরবানির ঈদে সবাই গরু কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও ঈদের আগের দিন অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র। করোনার সংক্রমণের কারণে মার্কেটে ক্রেতা আসছেই কম।

বসুন্ধরা সিটিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত দেখা যায়, তেমন ক্রেতা নেই।

ফ্যাশন হাউস নগরদোলার ব্যবস্থাপক নুসরাত জাহান নিউজবাংলাকে বলেন, কোরবানির ঈদের কেনাকাটার মূল আকর্ষণ থাকে কোরবানির পশু কেনা ঘিরে। পোশাকের বেচাকেনা এ ঈদে এমনিতেই কম। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক বিক্রি নেই বললেই চলে।

‘মানুষই আসছে না মার্কেটে। বেচাকেনা হবে কীভাবে’-যোগ করেন নুসরাত।

আড়ংয়ের বসুন্ধরা শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও মানুষের আনাগোনা কম। ঈদের মতো উপলক্ষে সাধারণত আড়ংয়ে লাইন দিয়ে ঢুকতে হয় ক্রেতাদের। এবার তা নেই। ক্রেতার সংখ্যা হাতেগোনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়ংয়ের এক সেলসম্যান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আড়ংয়ে আমি ৯ বছর ধরে কাজ করি। ঈদ উপলক্ষে এত কম বিক্রি আমি আর দেখিনি, যা সাধারণ সময়ের চাইতেও কম।’

বসুন্ধরা শপিং মলের প্লাস পয়েন্টের সেলসম্যান রিফাত উদ্দিন বলেন, ঈদের সময় যে পরিমাণ ক্রেতার ভিড় দেখা যায় তার ছিটেফোঁটাও নেই মার্কেটে। অনেক দোকান ক্রেতা আকর্ষণের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। তারপরও ক্রেতার আনাগোনা নেই।

ফ্যাশন হাউস দেশালের সেলসম্যান আশফাক বলেন, করোনা মহামারির কারণে মার্কেটে ক্রেতা আসছে খুবই কম। আর কোরবানির ঈদে বিক্রি কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও যেটুকু বিক্রি হওয়ার কথা তাও হচ্ছে না।

‘করোনার কারণে গত ঈদেও তেমন বিক্রি হয়নি। ভেবেছিলাম গত ঈদের ক্ষতি কিছুটা হলেও এই ঈদে পূরণ হবে। কিন্তু এবারও তা হলো না’- বলেন আশফাক।

স্ত্রীকে নিয়ে বসুন্ধরা শপিং মলে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী আসিফ কাজল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এখন শপিং মলে আসা হয় না। কেনাকাটা সাধারণত অনলাইন থেকেই করা হয়। কিছু কেনাকাটা অতিপ্রয়োজনীয় হয়ে যাওয়ায় এসেছি। দ্রুত কেনাকাটা করে চলে যাব।’

একই কথা জানালেন রাজধানীর পান্থপথের বাসিন্দা মঞ্জু শেখ। তিনি বলেন, ‘বডি স্প্রে শেষ হয়ে গেছে তাই এসেছি। করোনা শুরু হওয়ার পর সাধারণত অনলাইন থেকেই কেনাকাটা করি। কিন্তু কাল ঈদ তাই মার্কেটে এসেছি। তাড়াতাড়ি বডি স্প্রে কিনে বাসায় চলে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর