বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়কে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২১ ২০:৫৫

সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি সবচেয়ে বেশি। সঙ্গে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছিল বেশ কিছু গরুবোঝাই গাড়ি এবং পণ্য পরিবহনের কাভার্ডভ্যান। গণপরিবহন একেবারেই কম।

বিকেল ৪টায় বিজয় সরণির লিংক রোড মোড়ে গাবতলীগামী বাসের অপেক্ষায় ছিলেন বেশ কয়েক জন যাত্রী। তাদের অনেকের গন্তব্য উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা। কিন্তু গাবতলী যাওয়ার গাড়িই পাচ্ছিলেন না। গাড়িগুলো আগে থেকে প্রতিটি আসনে যাত্রী বোঝাই করে আসছে।

রাস্তায় অপেক্ষমান যাত্রী কাউসার বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। কোনো গাড়ি নিচ্ছে না। আগে যাওয়ার জন্য অফিস থেকে একটু আগে বের হলাম। এখন দেখছিল কোনো লাভ হল না। এখানেই গাড়ির সিট নাই, বাড়ির দিকে যেতে কী অবস্থা হবে, আল্লাহ মালুম।’

ঠিক একই সময় উল্টো দিকে বিজয় সরণী মোড়েও গাড়ির চাপ। ওভারব্রিজের গাড়ির সারি ঠেকেছে তেজগাঁও পর্যন্ত। পশ্চিমের অপেক্ষমান গাড়ির সারি প্রায় সংসদ ভবনের মোড় পর্যন্ত, দক্ষিণের গাড়ি ফার্মগেট এবং উত্তরের গাড়ি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পার হয়ে প্রায় জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত ঠেকেছে।

তবে সকাল থেকে সড়কের এমন চিত্র ছিল না। বরং দুপরের আগ পর্যন্ত গাড়ি ও যাত্রীর চাপ ছিল অনেক কম।

কোরবানির ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকি। লকডাউনের পর সাত দিনের শিথিল অবস্থা পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎযাপনে অনেকে ঢাকা ছেড়েছেন আগেই। এতে সকালের দিকে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ ছিল কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে চিত্র। দুপরের পর ঘরমুখী মানুষের চাপে যানবাহনও বেড়েছে।

বিজয় সরণির মোড়ের কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্য জুলহাস বলেন, ‘দুপরের পর থেকে গাড়ি বাড়ছে। মানুষ বাড়ির জন্য বের হইছে। একটু পর অফিস ছুটি হইলে আরও বেশি জ্যাম লাগবে। এখনই একদিকের গাড়ি ছাড়লে দুই মিনিটেই অন্যদিকের লম্বা লাইন লাইগা যায়, গাড়ির হর্নে কান ঝালাপালা।’

রাজধানীর সাত রাস্তায় গাড়ির তীব্র চাপ লক্ষ্য করা যায়। ছবি: সাইফুল ইসলাম

তবে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল সবচেয়ে বেশি। সঙ্গে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছিল বেশ কিছু গরুবোঝাই গাড়ি এবং পণ্য পরিবহনের কাভার্ডভ্যান। কিন্তু গণপরিবহন একেবারেই কম। এতে রাজধানীর বাইরে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তার ওপর শেষ বিকেলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ভোগান্তি আর বাড়িয়েছে।

সড়কে যানবাহনের ভিড়ের মধ্যে বেশ কিছু পিকআপে ছিল গবাদিপশু। ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকি থাকায় অনেক খামারি তাদের পশু ক্রেতার বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। আবার শেষ দিনে গরুর দাম বাড়ার শংকায় ক্রেতারারও হাট থেকে গরু কিনে পিকআাপে করে বাড়ি ফিরছেন। হাট এলাকাগুলোতে সীমাহীন যানজট।

পিকআপ চালক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সকালে একটু ভালই ছিল। ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে গরু নিয়া বাসায় নামায়ে দিয়া আসতে পারতাম। দুপুরের পর থেকেই রাস্তায় ভিড় বাড়ছে, সময় একটু বেশি লাগতাছে। তবে আগের বারের থাইকা এবার রাস্তায় গাড়ি ও মানুষ কম।’

রাজধানী থেকে বের হওয়ার বিভিন্ন রুটের দিকে যাত্রীর চাপ ছিল অনেক বেশি। একই অবস্থা ছিল গাবতলী এবং গাজীপুরগামী বিভিন্ন বাসে।

বাসের চালক সাত্তার মোল্লা বলেন, ‘অনেক কষ্টে গাবতলী থেকে দেড় ঘণ্টায় বাইর হইছি। আর যামু না। আগেই গাড়ি ঘুরায়া নিমু। সদরঘাটের অবস্থা আরও খারাপ। একবার গেলে আর বাইর হওয়া যায় না।’

গাড়ির জন্য অনেক যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করেছেন বিভিন্ন রুটে। অনেকেই কাঁধে ব্যাগ এমনকি বড় বোঝা নিয়েও দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন।

মহাখালীতে অপেক্ষমান যাত্রাী মকবুল হোসেন বলেন, ‘সংসদ ভবনের কাছ থেকে মহাখালী পর্যন্ত হেঁটে আসছি। কোনো গাড়ি পাইলাম না। রাস্তায় প্রাইভেট কার-মাইক্রো বাসে ভরা কোনো বাস নাই। এতো গাড়ি গেল কই?’

এ বিভাগের আরো খবর