কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ তদারকিতে ১০টি টিম গঠন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এসব টিম গঠন করা হয়েছে।
২১ জুলাই বেলা ২টা থেকে ২৪ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা ও পশুর হাটগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করবে টিমগুলো।
এ ছাড়া করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করপোরেশনের আওতাধীন যেকোনো নাগরিক তার নিজ এলাকায় সৃষ্ট বর্জ্য সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রেরণ বা পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত সুরাহার জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন শিফটে ১৮ জুলাই বেলা ২টা হতে ২৪ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন।
৯০টি খোলা ট্রাক, ৫৩টি কম্পেক্টর, ১২টি পানির গাড়ি, ১০২টি ডাম্প ট্রাক, ১৪টি পে-লোডার, ৮১টি কনটেইনার ক্যারিয়ার, ৯টি টায়ার ডোজার, ২টি ট্রেইলার, ৯টি স্কিড লোডারসহ প্রায় পৌনে ৪০০ যান-যন্ত্রপাতি মাঠ পর্যায়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকবে।
নিয়মিত ৫০০০ কর্মীর পাশাপাশি আরও ৫০০০ কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিযুক্ত থাকবেন।
ঈদ উপলক্ষে প্রতি কাউন্সিলরকে ১ হাজার করে ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের ১ হাজার ৫০০টি পরিবেশবান্ধব থলে দেয়া হয়েছে। এসব থলে যারা কোরবানি করবেন তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য সেসব থলের মধ্যে ভরে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করপোরেশনের নির্ধারিত ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৩০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে।