রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই উপচে পড়া ভিড়। তবে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ‘স্বাভাবিক চাপ’ আছে সেখানে। সোমবার সকালে ২২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে টার্মিনাল থেকে। বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ঘাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএর বিএস আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে মোট ২২টি লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ঈদের সময় হলেও যাত্রীদের চাপ ছিল স্বাভাবিক। ভিড় বা যাত্রীর চাপ ছাড়াই লঞ্চগুলো ছেড়ে যায়।
ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও যাত্রীসেবার জন্য তৎপর স্বেচ্ছাসেবীরা। পুলিশ ও র্যাবের টিম নজরদারি করছে ঘাট এলাকায়। মাইকিং করে যযাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকালে পুলিশের উপস্থিতি কম থাকায় দেখা যায় লঞ্চঘাটে অপেক্ষমাণ অনেকেই মুখে মাস্ক না লাগিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভোলা জেলার মনপুরার বাসিন্দা আবদুল মান্নান দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘অন্য বছরের ঈদের তুলনায় এবার ঝামেলামুক্ত যেতে পারছি। ঘাটে ভিড় নেই। যাত্রীরা নিয়ম মানছেন।’
করোনা সতর্কতার কারণে যাত্রী কমিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হলেও তা দিতে রাজি নন যাত্রীরা। সে ক্ষেত্রে লঞ্চগুলো যেমন যাত্রীভেদে কম ভাড়া নিচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতি পোষাতে বহন করছে তুলনামূলক অধিক যাত্রী।
এ অনিয়ম প্রসঙ্গে পটুয়াখালীগামী পারাবত লঞ্চের ম্যানেজার মো. জসিমউদদীন বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা ভাড়া কম দেয়া যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছি। কাউকে তো রেখে যেতে পারি না। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমাদের চলতে হয়।’
বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে যাত্রী বিবেচনায় আরও ২০-২৫টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে বেলা ২টার পর থেকে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে।
তিনি জানান, গার্মেন্টসকর্মীদের একটি বড় অংশ লঞ্চে বাড়ি ফিরবেন। তারা ছুটি পেলেই ঘাটে আসবেন। তখন কিছুটা চাপ থাকবে। যা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে। আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার কারণে বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা কম।