বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমজাদের উটের দাম ২২ লাখ টাকা

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ২২:৪৩

উটের মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘কী করমু? পার্টি (ক্রেতা) তো অত নাই। আগে একটা উটের জন্য ১০ জন কাস্টমার হইত। আর আসে এখন এক-দুইটা।’

উটের বয়স সাড়ে সাত বছর। মালিক আমজাদ হোসেনের দাবি, এটি এসেছে পাকিস্তান থেকে। দাম তিনি হাঁকিয়েছিলেন ২৫ লাখ টাকা। তবে এবার ক্রেতা সংখ্যা কম হওয়ায় ২২ লাখ টাকা হলেও বিক্রি করে দেবেন।

সাত দিন ধরেই গাবতলীর হাটে আছে এই উট। বিক্রির জন্যে অপেক্ষা।

আমজাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, বিক্রির বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

কী কারণে কম টাকায় বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করমু? পার্টি (ক্রেতা) তো অত নাই। আগে একটা উটের জন্য ১০ জন কাস্টমার হইত। আর আসে এখন এক-দুইটা।’

ক্রেতা কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘করোনার কারণেই তো এমন অবস্থা। মানুষের কাছে টাকা-পয়সা নাই। অনেক লোক তো কোরবানিও দিতে পারবে না।’

আমজাদ হোসেনের বাড়ি গাবতলীতেই। উটটি তিনি পাকিস্তান থেকে এনেছেন ছয় বছর আগে। তখন সেটির বয়স ছিল দেড় বছর। এরপর বাড়িতে পালন করেছেন।

শখের বসেই উট পালন করেছেন তিনি। এর আগেও উট ছিল তার।

উটটিকে তিনি ছোলার আর গমের ভুষি খাইয়েছেন।

টার্গেট ২২ লাখ টাকা। ক্রেতারা কতো দাম বলছেন?

আমজাদ হোসেন জানালেন, হাটের ক্রেতারা আড়াই-তিন লাখ টাকা বলছে। এর বেশি উঠতে চায় না।

বললেন, ‘ক্রেতা আসে। যার মন যা চায় বলে। আমরা সামান্য কিছু লাভ হলেই বেচে দেব। এতো বছর কষ্ট করছি, অনেক লোক খাটাইছি। আমার কিছু লাভ না হলে তো হইব না। হাটে নিয়ে আসছি এক সপ্তাহ হইল। কাস্টমার আসে, দাম কয়, ফের চইল্যা যায়।’

কারা উটের ক্রেতা জানতে চাইলে বলেন, সাধারণত যারা উট কোরবানির মানত করে, তারা ক্রেতা। আবার অনেক সময় কোরাবানির জন্যে মাজার কর্তৃপক্ষও উট কিনে নিয়ে যায়।

গাবতলীর হাটে এবার তিন-চারটি উট দেখা গেছে। এছাড়া উঠেছে আটটি দুম্বা। এগুলোও পাকিস্তান থেকে আসা। দাম ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে।

আমজাদ হোসেন অবশ্য দাবি করেন, তার উট ছাড়া আর কোনো উট হাটে নেই।

বড় আকারের গরুর নানারকম সৌখিন নাম দেয়া হয়। কিন্তু আমজাদ হোসেনের উটের কোনো নাম নেই।

‘উটের কোনো নাম দেয়া হয় নাই। উট-দুম্বা এগুলার কোনো নাম হয় না,’ বললেন আমজাদ হোসেন। ‘কারণ, এগুলা আল্লাহর জিনিস। এগুলোর নাম দেওয়া ঠিক না। গরুর নাম হয়, কিন্তু উটের নাম হয় না।’

মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী সাইফুল আলম খান ১ লাখ ১৫ টাকায় একটি গরু কিনেছেন। এবার গরুর দাম অন্য সময়ের চেয়ে বেশি বলেই তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে গাবতলী হাটের ইজাদার লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিব ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গরুর সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। দাম কমও না বেশিও না।’

এ বিভাগের আরো খবর