ঈদে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের বাড়ি ফেরার তাড়া থাকলেও রোববার সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ছিল কার্যত যাত্রীশূন্য। সেখানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কোনও ভিড় ছিল না। তবে বিকেলে ভিড় বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ঘাটসংশ্লিষ্টরা।
সদরঘাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে যাত্রীবাহী লঞ্চ সারি সারি নোঙর করা। ঘাটে নেই ব্যস্ততা, নেই ভিড়। ঈদ মৌসুমে এমন দৃশ্য বিরল। বিকেলের দিকে যাত্রী মিলবে এমন প্রত্যাশা লঞ্চ স্টাফদের।
এস আলম গ্রুপের ফেয়ারি শিপিং লাইনস লিমিটেডের ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাটডাউন খুলে দেয়ার পরের দিন প্রচুর ভিড় ছিল। তারপর থেকে যাত্রী উপস্থিতি স্বাভাবিক। তবে গার্মেন্টস ছুটি হলে যাত্রীসমাগম বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যাত্রী স্বাভাবিকের চেয়েও কম। টিকিট সংগ্রহের জন্য ভিড়ও দেখা যাচ্ছে না। এখন লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারিত নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি সন্তোষজনক হলেই, আমরা লঞ্চ ছেড়ে দিচ্ছি।’
ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরের পর থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
এদিকে সদরঘাট টার্মিনালে সকালেই র্যাবের একটি টিমকে টহল দিতে দেখা যায়। র্যাব সদস্যরা এ সময় ঘুরে ঘুরে মাস্ক বিতরণ করেন।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান মাস্ক ব্যবহার না করার জন্য কয়েকজনকে দাঁড় করান। তাদের মুখে মাস্ক পরিয়ে দিয়ে টার্মিনালের একপাশে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন।
সকালে টার্মিনালের আশপাশের এলাকাতেও দু-একটি রিকশার চলাচল ছাড়া যানবাহনের দেখা মিলেছে কম। ঈদ ছুটির আগে রোববার অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকায় সেদিকেই লোকজনের আনাগোনা বেশি ছিল।