কোরবানির পশুর হাটে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শনিবার দুপুরে গুলশানের নগর ভবনে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত একটি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী মোট ৯টি পশুর হাট ইজারার কার্যাদেশের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালনসহ সার্বিক তত্বাবধানের জন্য গঠিত মনিটরিং টিমের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ সতর্ক বার্তা দেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এরই মধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে যেখানে ১৩ জন কাউন্সিলর এবং ২ জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তাও রয়েছেন।’
‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি পশুর হাটেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০০ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২০০ টিশার্ট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সব হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, “করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সশরীরে কোরবানির পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১’ এর আয়োজন করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সবাইকেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।