প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুয়া বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন কবির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে গত বৃহস্পতিবার গিয়াস উদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. আসাদুজ্জামান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম নিভানা খায়ের জেসি শনিবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় গিয়াস উদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
গত ১১ জুলাই সকালে কুমিল্লা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। ওই দিনই পল্টন থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গিয়াস উদ্দিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন সিএমএম আদালতের বিচারক।
সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত গিয়াস উদ্দিন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দাবি করতেন। এই পরিচয়ে বন ও পরিবেশমন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভালো চাকরি ও লোভনীয় পোস্টিংয়ের কথা বলেও টাকা আদায় করতেন গিয়াস উদ্দিন। কুমিল্লা জেলার আইনজীবী কামাল হোসেনের কাছ থেকে একইভাবে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ওই আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে গিয়াস উদ্দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।