টাঙ্গাইল থেকে বিশাল আকৃতির গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন মো. কামরুজ্জামান। ৩১ মণ গরুটির নাম দিয়েছেন ‘টাঙ্গাইলের হিরো’।
বিক্রেতার দাবি, গাবতলীর হাটে এখন পর্যন্ত হিরোই সবচেয়ে বড় গরু। হিরোর জন্য দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।
কামরুজ্জামান প্রতি বছরই বড় গরু নিয়ে গাবতলী হাটে আসেন। হিরোকে নিয়ে এসেছেন দুদিন আগে। প্রত্যাশা করছেন ভালো দামেই বিক্রি করতে পারবেন।
টাঙ্গাইলের হিরোর দেখভালের জন্য কামরুজ্জামানের প্রতিদিনের বরাদ্দ ২০০০ টাকা। তার আদর যত্নের কমতি নেই। গরুটিকে দেখতে ভিড় করছে শত শত মানুষ। কৌতুহলবশত দাম জানতে চাচ্ছেন সবাই। বিশাল আকৃতির গরুটির সঙ্গে ছবি তুলছেন অনেকে। কেউবা ভিডিও করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাবতলী হাটে টাঙ্গাইলের হিরোর চেয়েও বড় আরেকটি গরু ছিল, যার ওজন ছিল ৪১ মন। গরুটি শনিবার সকালেই বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া, বেশ কিছু বড় গরু রয়েছে গাবতলীর হাটে। যেমন: জামালপুর থেকে এসেছে ‘জামাইবাবু’। বিশাল আকৃতির গরুটি নিয়ে এসেছেন দুদু মিয়া। তার দাবি, জামাইবাবুর ওজন প্রায় ৩০ মণ।
গাবতলীর হাটে কোরবানির জন্য অনেক গরু, উট, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। আকারভেদে দামও ভিন্ন ভিন্ন রকম। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি বলছেন ক্রেতারা।
টাঙ্গাইলের হিরো
সোয়েব আলী নামে একজন কোরবানির গরু কিনতে গাবতলী হাটে এসেছেন মিরপুর ১০ নম্বর থেকে। নিউজবাংলাকে বললেন, ‘অনেক গরু দেখলাম। গত বছর যে বাজেটে গরু কিনেছিলাম এবার সেই বাজেটে গরু কিনতে পারবো না মনে হয়। দাম বেশি চাচ্ছে ক্রেতারা।’
একই কথা বলেন সোহেল মিয়া নামে আরেক ক্রেতা। বললেন, ‘দাম বেশি। আরও কয়েকটা হাট ঘুরেছি। একই চিত্র। মাঝারি সাইজের গরু কিনলেও লাখের মতো টাকা লাগবে দেখতেছি।’
গরুর দাম কেমন পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে পাইকার এমদাদ হোসেন বলেন, ‘ভালো দাম উঠছে গরুর। মনে হচ্ছে লাভ থাকবে।’