রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার দুইজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান) অবৈধ অস্ত্র জব্দ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভাটারা থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানহগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলে—আ. রহিম শেখ ও হেলাল খান।
বিষয়টি আদালতের ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
গত ১৩ জুলাই আসামিদের দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠান সিএমএম আদালতের বিচারক।
চক্রের অপর তিন সদস্য আ. রহিমের স্ত্রী ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেন বা আনু হাওলাদার। তাদেরকে ১৩ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১২ জুলাই ভাটারা থানা এলাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এ সময় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার, বিপুল পরিমাণ আঠা এবং জ্বাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রংসহ নানা উপকরণ জব্দ করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন জালনোট তৈরি করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করে আসছিলেন।