ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ হাজার ৭৫২ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। যা সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগের অর্থবছরে বাজেট ছিল ৬ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের অষ্টম করপোরেশন সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট পাস করা হয়।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের ৬ হাজার ৪৯ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এছাড়াও সভায় প্রথমবারের মতো ১ জন কর্মকর্তাকে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ ও ১ জন কাউন্সিলরকে ‘শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হককে শুদ্ধাচার পুরস্কার ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদকে শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘এই বাজেট করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট। কিন্তু আমরা এখানেই থেমে যেতে চাই না। প্রতি বছরই আমরা আরও বড় পরিসরে ঢাকাবাসীর কল্যাণে কাজ করতে চাই। সেজন্য ক্রমাগত আমাদের রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সবার সহযোগিতায় আমরা আমাদের রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
সরকারের নীতিমালা থাকলেও আগে কখনও করপোরেশন হতে কাউকে শুদ্ধাচার পুরস্কারে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। কিন্তু প্রথমবারের মতো আমরা এই কার্যক্রম শুরু করেছি জানিয়ে তাপস বলেন, ‘মানুষের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো সম্ভব - সেটা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা। তিনি কর্মকর্তা হিসেবে যেমন অত্যন্ত দক্ষ তেমনি জনবল স্বল্পতা ও বিদ্যমান জনবলের সক্ষমতা অতিক্রম করে প্রতিটি কাজ নিজে নিবিড়ভাবে তদারকি করেছেন বলেই আমাদের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।’
নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান বলে মনে করে তাপস বলেন, ‘আমার সঙ্গে যারা কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, আমি তাদের মধ্যে উদ্যম, উদ্যোগ, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা দেখেছি। যারা জনকল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখেন তাদের কর্মস্পৃহা বাড়ানো এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরকে উৎসাহিত করার জন্য স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমরা করপোরেশন থেকে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর পুরস্কার দিয়েছি।’
শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে আরিফুল হককে তার মূল বেতনের ১ মাসের বেসিক, ১টি ক্রেস্ট, ১টি সনদ এবং শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদকে ৫০ হাজার টাকা, ১টি ক্রেস্ট, ১টি সনদ দেয়া হয়েছে।
সভার শুরুতে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর জিন্নাত আলীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও কাউন্সিলররা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।