বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহকর্মী নির্যাতন: গ্রেপ্তার দম্পতির রিমান্ড শুনানি রোববার

  •    
  • ১৫ জুলাই, ২০২১ ২০:০৪

আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে তাদের উপস্থিতিতে ১৫ জুলাই শুনানির দিন রেখেছিল। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কারাগারে থাকা আসামি দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করা হয়। এদিন এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডে পেতেও আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা, যার শুনানি হবে ১৮ জুলাই।

রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি বাসায় ১২ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় তানভীর আহসান পাভেল ও নাহিদ জাহান আখিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। সেই সঙ্গে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৮ জুলাই দিন রাখা হয়েছে।

ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সাঈদ বৃহস্পতিবার আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য দিন রাখেন।

গত ৬ জুলাই শাহবাগ থানায় ৫৪ ধারায় করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন এ দম্পতিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে তাদের উপস্থিতিতে ১৫ জুলাই শুনানির দিন রেখেছিল। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কারাগারে থাকা আসামি দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করা হয়।

এদিন এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডে পেতেও আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন রেখেছে আদালত।

গৃহকর্মী সুইটিকে নির্যাতনের ঘটনায় বাবা শহিদ মিয়া বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় তানভীর আহসান পাভেল ও নাহিদ জাহান আখিকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, অভাবের কারণে ৯ মাস আগে সুইটিকে পাভেল-আখির বাসার কাজে পাঠায় তার পরিবার। তার মাসিক বেতন ধরা হয় ৩০০০ টাকা। দুই মাসের বেতন শহিদ মিয়া নিয়ে যান। এরপর সাত মাসে আর কোনো টাকা দিতো না আসামিরা।

এমনকি সুইটিকে দেখতে আসলেও দেখা করতে বা ফোনে কথা বলতে দেয়নি আসামিরা। ঠিকমত কাজ না করার অজুহাতে পাভেল ও আখি কারণে-অকারণে সুইটিকে দীর্ঘদিন যাবৎ অমানবিক মারপিট করে আসছিলেন।

গত ১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে লাঠি দিয়ে সুইটির হাত, পা, পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে জখম করেন আসামিরা। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সুইটির পরা কাপড় খুলে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে সুইটির পশ্চাৎদেশের দুই পাশে শক দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন পাভেল-আখি দম্পতি।

এতে সুইটির পশ্চাৎদেশের মাংস ঝলছে বিকৃত হয়ে যায়। পাভেল ও আখি রুটি তৈরির কাঠের বেলুন দিয়ে সুইটির বাম হাতের কনুয়ের হাড় ভেঙে দেয়। আখি সুইটির যৌনাঙ্গে বেলুন ঢুকিয়ে নির্যাতন করেন। যার ফলে সুইটির যৌনাঙ্গ বিকৃতসহ ক্ষত-বিক্ষত হয়। চোখে মুখে ও যৌনাঙ্গে মরিচ লাগিয়ে দেয়।

সুইটি জীবন বাঁচানোর জন্য আসামিদের বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে খেতে না দিয়ে দুই দিন বাথরুমে আটকে রাখে। গত ৩ জুলাই সুইটি বাথরুম থেকে বের হয়ে তাদের ঘরে থাকা বিস্কুট খেলে আসামিরা তার ওপর রাগান্বিত হয়ে রাত ১টার দিকে আসামিরা তাকে আবার মারপিট করে। সুইটি জীবন বাঁচানোর জন্য কৌশলে আসামিদের বাসা থেকে পালিয়ে একজনের বাসায় আশ্রয় নেয়।

এরপর আশ্রায়দাতারা পুলিশে খবর দেয়। ৪ জুলাই পুলিশ এসে সুইটিকে উদ্ধার করে এবং ওই দম্পতিকে আটক করে। পরদিন তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারেই আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর