বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চলছে গাড়ি, খুলছে মার্কেট

  •    
  • ১৫ জুলাই, ২০২১ ০৯:২৭

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজ গেট, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহনগুলোতে মানুষের চাপ কম। বেশির ভাগ বাসেই আসন ফাঁকা। আর শপিং মলগুলো নিচ্ছে খোলার প্রস্তুতি।

শিথিল শাটডাউনের সকালেই চেনা রূপে ফিরেছে ঢাকা। সড়কগুলোতে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। শুরুতে গাড়ির তুলনায় যাত্রীর চাপ কম দেখা গেছে। আর শপিং মলগুলোতে চলছে খোলার প্রস্তুতি।

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম শপিং মল নিউমার্কেটে সকালে গিয়ে দেখা যায়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষ। অপেক্ষা কেবল দোকান খোলার।

সকাল ৯টার দিকে ২ নম্বর গেটের গেটম্যান মো. শামীম বললেন, ‘সবকিছু প্রস্তুত। একটু পরই মার্কেট খোলা হবে।’

একই চিত্র দেখা যায় মৌচাক ও গুলশান হকার্স মার্কেটেও। দুই সপ্তাহের শাটডাউনের পর দোকান খুলতে মুখিয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানির ঈদের ব্যবসা ধরতে তর সইছে না তাদের।

দিনের আলো ফুটতেই খুলতে দেখা গেছে রাস্তার আশপাশের অন্যান্য দোকানপাটও। ক্রেতা আসুক বা না আসুক দোকান খোলা গেছে এটাই যেন বড় স্বস্তি।

বাড্ডার লিংক রোডের হার্ডওয়্যার দোকানি কামালউদ্দিন বললেন, ‘ভাই, দুই সপ্তাহ পর দোহান খুললাম। মাসের অর্ধেকটা শেষ। দোকান ভাড়া কী দিব, সংসার খরচ কোথা থেকে মিলাব।’

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেও কোরবানি ঈদ ও পশুর হাট বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আট দিনের জন্য শাটডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয় সরকার।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঈদের সময় অর্থাৎ এই আট দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহন। খুলে দেয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল। তবে ঈদের পর আবারও ১৪ দিনের জন্য শাটডাউনে যাবে দেশ।

নিউমার্কেটে চলছে ধোয়ামোছার কাজ

সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজ গেট, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহনগুলোতে মানুষের চাপ কম। বেশির ভাগ বাসেই আসন ফাঁকা।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গত ১৪ দিনে যেসব চেকপোস্টে চেক করা হতো সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কোথাও গাড়ি আটকানো হচ্ছে না। নেই কোনো পুলিশি তৎপরতা।

মালিবাগ, মৌচাক, ফার্মগেট, গাবতলী, কলেজগেট, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, মিরপুর-১০ ও বাড্ডা বাস স্টান্ডগুলোতে গাড়ি জটলা পাকালেও যাত্রীর অভাব ছিল স্পষ্ট।

একটি লোকাল বাসের ড্রাইভার মতিন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত দিন পরে বাস চলতে দিছে সরকার। কিন্তু রাস্তায় যাত্রী নাই। মানুষ সব গ্রামে চইলা গেছে। আর যারা আছে তারা বাসযাত্রী না। যে অবস্থা দেখতাছি গাড়ির জমার টাকা উঠাইতেই ঘাম বাইরাইয়া যাইব।’

শাটডাউন শিথিলের খুব সকাল থেকেই পাড়া-মহল্লায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সব দোকানপাট খুলছে। গত ১৪ দিনের তুলনায় বাইরে সাধারণ মানুষের আড্ডা বেড়েছে। চায়ের দোকানে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের নানা আলোচনা দেখা গেছে।

শাটডাউন শিথিলে অনেকটা যেন স্বস্তি অফিসগামীদের। গণপরিবহন না থাকায় গত ১৪ দিন অনেক কষ্টে তাদের অফিসে যেতে হয়েছে। সেই ভোগান্তি শেষ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সৌরভ মণ্ডল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি পেতে আজ কোনো ঝামেলা হয়নি। অনেক দিন পর আজ ঝামেলা ছাড়া অফিসে এলাম। বাসের বেশির ভাগ জায়গা ফাঁকা ছিল। কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেকও করেনি।’

ঈদ, পশুর হাট আর জীবন-জীবিকার কথা ভেবে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত শাটডাউন শিথিল করা হলেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ সময় মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এ ছাড়া, তথ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শাটডাউন শিথিল করা হলেও এ সময়ে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রে গমন এবং জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর