শুধু রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নয়, দালালদের সিন্ডিকেট রয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে দালালদের তৎপরতা বেড়েছে। অ্যাম্বুলেন্সচালকরাও রয়েছেন এই সিন্ডিকেটে।
এই দালালদের মাধ্যমে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর শুরু হয় প্রতারণা। প্রয়োজন ছাড়াও করা হয় দামি টেস্ট, রাখা হয় আইসিইউ-সিসিইউতে। এরপর হাসপাতালে যে বিল আসে, সেখান থেকে কমিশন চলে যায় দালালদের পকেটে। জানা গেছে, কমিশন হিসেবে কোরবানির জন্য গরু দেয়ার প্রলোভনও দেখানো হয় স্থানীয় দালালদের।
রাজধানীসহ সারা দেশে বড় একটি দালাল চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন সাহাদৎ হোসেন মামুন। মঙ্গলবার রাতে তাকেসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব-২। শ্যামলীর ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মামুন ছাড়া তিনজনই ওই হাসপাতালের স্টাফ। তারা হলেন মহিন উদ্দিন মামুন, রহমত উল্লাহ ও আকরাম হোসেন।
বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-২-এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে তারা রোগী নিয়ে আসতেন। এ ক্ষেত্রে জেলা শহরের অ্যাম্বুলেন্সচালক এবং হাসপাতালের দালাল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। শ্যামলীর এই হাসপাতালে ভর্তির পর রোগীদের কাছ থেকে অযথা বিভিন্ন টেস্ট ও পরীক্ষার কথা বলে অতিরিক্ত বিল করতেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসব অপকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নে র্যাব-২-এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা এসব বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিষয়ে মামলা হবে।’