রাজধানীতে গ্রেপ্তার ভুয়া ডিবি পরিচয়দানকারী চার ডাকাতকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম রাজেশ চৌধুরী বুধবার এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন জাহিদ হাসান ওরফে রেজাউল, মানিক ব্যাপারী ওরফে দারোগা মানিক, ফারুক হোসেন ওরফে নাসির উদ্দিন ও রুবেল সিকদার ওরফে রুস্তম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল হক এই চার আসামিকে আদালতে হাজির করে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ ছাড়া অস্ত্র আইনের পৃথক আরেক মামলায় মানিক ব্যাপারীর আরও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড দেয়। সেই সঙ্গে পাঁচ দিনের মধ্যে এই রিমান্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
আর অস্ত্রটি খেলনা পিস্তল হওয়ায় অস্ত্র মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনটি নামঞ্জুর হয়। আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
বিচারক রাজেশ চৌধুরী আসামিদের জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনারা এই ডিবির জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ ও ওয়ারলেস সেট কোথায় থেকে পান? উত্তরে আসামিরা বলেন, তারা এসব বিষয় কিছুই জানে না।
বিচারক তখন আসামি মানিককে বলেন, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা কোথায় পেলেন করোনার মধ্যে? উত্তরে আসামি মানিক বলেন, তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত। তাই তার চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বছিলা এলাকায় অস্ত্র ও পুলিশের সরঞ্জামসহ ডিবির জ্যাকেট পরে চেকপোস্টের মাধ্যমে ডাকাতি করার প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিম।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কাঠের বাঁটযুক্ত স্টিলের পাইপ লাগানো দেশীয় বন্দুক, একটি চাপাতি, দুটি প্লাস্টিকের বাঁট লাগানো ছোরা, তিনটি ডিবি লেখা জ্যাকেট, একটি খেলনা পিস্তল ও কভার, একটি ওয়্যারলেস সেট, সেলাইরেঞ্জ চাবি ও এক জোড়া হ্যান্ডকাফসহ নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলা ডাকাতির চেষ্টার এবং অপর মামলাটি ডাকাতির।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার চারজন ডিবির ভুয়া পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে বেড়াত। ঈদকে টার্গেট করে বড় বড় গরুর পাইকারের পিছু নিত তারা। এরপর সুবিধাজনক নির্জন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে থাকা সব লুট করে নিত।