রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার পাঁচজনের দুজনকে দুই দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ।
এ ছাড়া চক্রের বাকি তিন সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন আবদুর রহিম শেখ ও হেলাল খান।
আর কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন আবদুর রহিমের স্ত্রী ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেন বা আনু হাওলাদার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান) অবৈধ অস্ত্র জব্দ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভাটারা থানায় পুলিশের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করেন।
আবদুর রহিম ও হেলাল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের হেফাজতে নিতে এবং ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন জাল নোট তৈরি করে প্রতিনিধির মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সুকৌশলে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছিলেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে জব্দ করা জাল টাকা তৈরির সহযোগী, মদদদাতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ এবং জাল নোট তৈরির কাজে সহযোগী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আবদুর রহিম ও হেলাল খানকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
করোনাকালীন দুর্যোগের কারণে আপাতত ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেনের রিমান্ড চাওয়া হয়নি।
পরবর্তী সময়ে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এ অবস্থায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
দুই আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন এবং অপর তিন আসামির জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন আদালতের ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রনপ কুমার ভক্ত।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড ও বাকি তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার ভাটারায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
এ সময় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার, বিপুল পরিমাণ আঠা এবং বিভিন্ন ধরনের রংসহ নানা উপকরণ জব্দ করা হয়।