রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় অভিনেত্রী আয়েশা আক্তার আশার মৃত্যুর মামলায় একমাত্র আসামি শামীম আহমেদকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দারুস সালাম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ।
৬ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে এ প্রতিবেদনটি জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহান আহমেদ।
অব্যাহতির আবেদনে তিনি বলেছেন, ‘শামীম আহমেদের মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আশাকে ধাক্কা দেয়া ট্রাকচালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর ঘটনার সঙ্গে শামীম যে জড়িত সেই প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।’
৪ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে দারুস সালাম থানা এলাকার টেকনিক্যাল মোড়ে একটি ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আশা।
পরদিন আশার বাবা আবু কালাম মোটরসাইকেল চালক শামীম আহমেদকে আসামি করে দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, ছয়-সাত বছর ধরে আসামি শামীম আহমেদের সঙ্গে আশার পরিচয় ছিল। প্রায়ই আশাদের বাসায় যাতায়াত করতেন শামীম। এছাড়া অভিনয়ের কাজে আশাকে আসা-যাওয়ায় সহযোগিতা করতেন তিনি।
৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আশা তার বাবাকে ফোনে বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসছি।’
এরপর আবার ফোন করে তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাজের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমি শামীম ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসব।’
এ সময় শামীম মুঠোফোনে বলেন, ‘আপনার মেয়ে যেভাবে বলে, সেভাবে কাজ করেন তাহলে ভালো হবে। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে শামীম ফোন করে বলেন, ‘আশা আর নেই। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি অজ্ঞাত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে।’
অভিনেত্রী আয়েশা আক্তার আশা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।