নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডারসহ তিনজনকে পুলিশের করা সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই গোলাম মর্তুজা আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মাসুদ-উর রহমান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন নব্য জেএমবির ময়মনসিংহ অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার সাব্বির হোসেন ওরফে বামছি ব্যারেক ওরফে মেজর বামছি ওরফে আবু হাফস আল বাঙ্গালি ওরফে খালেদ ওরফে জন ডেভিড, তার সহযোগী রবিউল ইসলাম ওরফে ওসমান এবং নাঈম মিয়া।
এর আগে গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর পল্লবীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরকজাতীয় গুঁড়া পদার্থ, বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
পরদিন আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠায়। রিমান্ডে সাব্বির হোসেনের তথ্যের ভিত্তিতে ১১ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন রুহিতপুর এলাকা থেকে কাউছার মিয়া আরেক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক জঙ্গি সদস্যকে।
এই দুইজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানার খবর পায় পুলিশ। কাউছার মিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কাজীপাড়া এলাকায় তাদের সংগঠনের একটি আস্তানার কথা জানান। আর আব্দুল্লাহ আল মামুন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও গ্রামের মিয়াছাবের বাড়ির মসজিদের পাশে তার থাকার ঘরে তিনটি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জাম রাখার তথ্য দেন। পরে দুটি আস্তানাতেই অভিযান চালায় পুলিশ।
সোমবার কাউছার মিয়া এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।