বরগুনায় স্ত্রী-সন্তান হত্যা মামলার প্রধান আসাম স্বামী শাহিন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির একটি বিশেষ দল সোমবার চট্টগ্রাম থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মালিবাগ সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি জানান, গত ৩ জুলাই বরগুনার পাথরঘাটার একটি বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার ও তার ৯ মাস বয়সী কন্যাসন্তানের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার বাবা সুমাইয়ার স্বামীকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে সিআইডির একটি বিশেষ দল তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার চট্টগ্রাম থেকে শাহিন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শাহিন মুন্সি হত্যার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানান সিআইডি পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, ৩০ জুলাই সুমাইয়া তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। পরে ২ জুলাই সুমাইয়ার খোঁজ করতে তার শ্বশুরবাড়িতে যান ছোট বোন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানান সুমাইয়া তাদের বাড়িতে আসেননি। অনেক খোঁজখবর নেয়ার পর ৩ জুলাই শ্বশুরবাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা অবস্থায় সুমাইয়া ও তার শিশুকন্যার মরদেহ পাওয়া যায়।
মুক্তা ধর বলেন, সুমাইয়ার সঙ্গে স্বামী শাহিন মুন্সির কথা-কাটাকাটি হলে বাড়ির পেছনে বড়শির নাইলনের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন। স্ত্রীকে হত্যার পর মেয়ের কান্নাকাটি দেখে তাকেও বাড়ির পাশে একটি খালে ডুবিয়ে হত্যা করেন শাহিন মুন্সি। পরে কৃষিকাজে ব্যবহৃত কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী।
সিআইডি জানায়, এর আগে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই সুমাইয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন মুন্সির বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে শাহিন মুন্সি ৩ মাস জেলও খাটেন। পরে সুমাইয়াকে বিয়ে করার বিনিময়ে কারামুক্ত হন তিনি।