রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটে রয়েছে পোষা প্রাণী, পাখি আর হরেক রঙের মাছের অ্যাকুরিয়াম। বছরব্যাপী জমজমাট এই মার্কেট করোনা পরিস্থিতিতে রয়েছে বন্ধ। সেখানে থাকা পাখি, মাছসহ প্রাণীগুলো খাদ্য ও মুক্ত বাতাসের অভাবে মরণাপন্ন। তাদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। উদ্যোগ নিয়েছেন প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য মার্কেট খোলা রাখার।
কাঁটাবন মার্কেটের অ্যাকুয়া ও পেটস অ্যাসোসিয়েশন সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মন্ত্রী তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিলে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় অন্তত দুই ঘণ্টা করে দোকানগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধকালে কাঁটাবন মার্কেটের পশুপাখি ও মাছের দোকানগুলো সংকটে পড়েছে। দোকানগুলোতে থাকা শোভাবর্ধক মাছ, পাখিসহ প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য, পানি ও রোগ প্রতিরোধক টিকা দিতে হয়।
মার্কেটে থাকা প্রাণীগুলোর জন্য পরিচর্যা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে এসব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পশুপাখি ও মাছ মারা যাচ্ছে। এ জন্য মাছ ও পশুপাখির জীবন বাঁচাতে কাঁটাবন মার্কেটের সংশ্লিষ্ট দোকানগুলো দিনের নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘কাঁটাবন মার্কেটের পোষা প্রাণী ও শোভাবর্ধক মাছের জীবন রক্ষার্থে আমরা চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও দোকানগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য খোলা রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পশুপাখি ও মাছের খাবার দেওয়া, জীবন রক্ষাকারী টিকা ও ওষুধ দেওয়া সম্ভব হবে। সেখানে আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ করে দেওয়া দরকার। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পশুপাখি বা মাছ মারা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।’
দেশে করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর লকডাউন চলাকালে কাঁটাবন মার্কেট সরেজমিন পরিদর্শন করে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মাছ ও পশুপাখির জীবন বাঁচাতে নির্ধারিত সময় দোকান খোলা রাখার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।