বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে আস্তানার সন্ধানদাতা দুই জঙ্গি রিমান্ডে

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২১ ২১:১৪

গত ৭ জুলাই রাজধানীর পল্লবীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তিন সক্রিয় সদস্য সাব্বির আহম্মেদ বা বামসি ব্যারেক বা মেজর খালিদ, রবিউল ইসলাম বা ওসমান এবং নাঈম মিয়াকে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর নারায়গঞ্জের জঙ্গি আস্তানার সন্ধানদাতা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের দুই সক্রিয় সদস্য কাউছার মিয়া বা ওসামা এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন বা ডেভিড কিলারকে ৫ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল দুই জঙ্গির রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম।

এর আগে পল্লবী থানায় করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই (নি.) গোলাম মর্তুজা।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৭ জুলাই রাজধানীর পল্লবীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তিন সক্রিয় সদস্য সাব্বির আহম্মেদ বা বামসি ব্যারেক বা মেজর খালিদ, রবিউল ইসলাম বা ওসমান এবং নাঈম মিয়াকে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই দিন কাউছার মিয়া বা ওসামা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার ওই তিন আসামিকে ৮ জুলাই চারদিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এর পর তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ডে সাব্বির আহম্মেদের তথ্যের ভিত্তিতে ১১ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন রুহিতপুর এলাকা থেকে কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার বর্তমানে উত্তর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান করছেন।

তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে যাত্রাবাড়ি থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউছার মিয়া নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কাজীপাড়া এলাকায় তাদের সংগঠনের একটি আস্তানা রয়েছে বলে জানায়। আর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও গ্রামের মিয়াছাবের বাড়ির মসজিদের পাশে তার থাকার ঘরে তিনটি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত সংস্থা বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের এবং নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবহিত করে আরও সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স, সোয়াট সদস্যসহ নারায়নগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও গ্রামের মিয়াছাবের বাড়ির মসজিদের পাশে আব্দুল্লাহ আল মামুনের থাকার ঘরে অভিযান পরিচালনা করে তিনটি শক্তিশালী বোমা, একটি মোটরসাইকেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে কাউছার মিয়ার দেখানো মতে বন্দর থানাধীন কাজীপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সেখান থেকে বিপুল পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা উগ্র জঙ্গিবাদী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। কাউছার মিয়া নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষক এবং বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তারা জানান, এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মাহাদী হাসান জনের নির্দেশে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, তাদের কাছে থাকা বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের মূল হোতাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে চান তদন্ত কর্মকর্তা।

তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

এ দিকে এ মামলায় রিমান্ডে থাকা সাব্বির আহম্মেদ বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর এবং সামরিক শাখা ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সে তার সহযোগি গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের নিয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও কুড়িগ্রামসহ ঢাকা শহরে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। রবিউল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং নাইম মিয়া এ বছর উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনে যোগদান করে মর্মে পুলিশ জানায়।

এ বিভাগের আরো খবর