বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ বক্সে বোমার তদন্তে মিলল দুই জঙ্গি আস্তানা

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২১ ১৮:২৩

গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডসংলগ্ন পুলিশ বক্সে বোমা পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এই বোমার তদন্ত করতে গিয়ে রোববার বিকেলে ও রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে দুটি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নারায়ণগঞ্জে রোববার রাতে দুটি পৃথক আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সেখান থেকে তিনটি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এর আগে রোববার বিকেলে যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানা দুটি।

গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডসংলগ্ন পুলিশ বক্সে বোমা পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এই বোমার তদন্ত করতে গিয়ে রোববার বিকেলে ও রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ।

তাদের দেয়া তথ্যে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও বন্দর থানায় অভিযান চালিয়ে আইইডি ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় এবং তিনটি আইইডি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজনের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে সিটিটিসি। তারা দুজন বোমা তৈরির কারিগর ও প্রশিক্ষক। দুজন জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও তারা স্লিপার সেল হিসেবে আমিরের অধীনে কাজ করছিল।

দুই বাড়িতে বানানো আইইডি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সোমবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলারকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যে বোমাটি রাখা হয়েছিল, সেটি ডেভিড কিলার আস্তানায় তৈরি করে তার এক সহযোগীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে এসেছিল।

মো. কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামার বরাতে আসাদুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ওসামা। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ওই সংগঠনের সামরিক শাখার অন্য সদস্যদের সঙ্গে অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন। বাংলাদেশের নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালির সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।

নব্য জেএমবির দুই সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার (বাঁয়ে) ও কাওসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তার জঙ্গিদের পরিকল্পনা কী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন গত ঈদের পরপর গত ১৭ মে তারা পুলিশ বক্সে বোমা রেখে এসেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল এ ধরনের বিস্ফোরকের মাধ্যমে তাদের যে টার্গেট ছিল সেখানে হামলা করা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল তাদের অন্যতম টার্গেট। গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি ভিন্ন গ্রুপের সদস্য।

তাদের মধ্যে কোনো যোগসাজশ ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার জঙ্গিরা স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করে আসছে। তাদের আমিরের নির্দেশে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করত। তারা তথাকথিত আমিরের নির্দেশে কাজ করত। তাদের মধ্যে আপাতত কোনো যোগসাজশ আমরা লক্ষ করিনি। তবে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে।’

গ্রেপ্তার দুজন কত দিন ধরে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, এমন প্রশ্নে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘তারা গত ১৭ মে একটি হামলার চেষ্টা করেছে। গতকাল তাদের আমরা গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারের পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আজকের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করেছি। আবেদন মঞ্জুর হলে এ বিষয়ে তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুই জঙ্গিকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

জঙ্গি সন্দেহে সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে। কলকাতা পুলিশ বলেছে, কলকাতায় বসে তারা বাংলাদেশ জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করত। বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন বাংলাদেশির নাম-পরিচয় সিটিটিসি জানে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে এমন তথ্য আমাদের জানা নাই। তবে আমরা আটকের তথ্য পেয়েছি। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করব।’

নব্য জেএমবির তথাকথিত আমিরের নাম কী জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘তাদের তথাকথিত আমিরের নাম মাহাদি আসান জন ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালি। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর