রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার নুরেরচালা সাইদনগরে একটি বাসাতে মেশিনাদি বসিয়ে জাল নোট বানানোর কারখানা শুরু করেছিলেন আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এতে জড়িত আরও কয়েকজন। সামনে ঈদ থাকায় জাল নোট ছাপানোর পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এর আগেই গ্রেপ্তার হতে হলো তাদের। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার বাড্ডা থানার নুরেরচালা সাঈদ নগরে এলাকার বাসাটিতে থেকে রহিম-ফাতেমাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গুলশান ডিবি পুলিশ। অপর তিনজন হলেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।
অভিযান শেষে ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের জাল টাকা তৈরির একটি ঘরোয়া কারখানা পাওয়া গেছে। সেখানে জাল টাকা তৈরি এবং বিপণনের কাজে জড়িত এক মহিলাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এই সময় কারখানাটি থেকে ১ হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ তৈরিকৃত জাল টাকা ও প্রচুর পরিমাণে জাল টাকা তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, মূলত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা কারখানাটি পরিচালনা করতেন। বাকিরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার প্রতি মাসে কোটি কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়তো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি জানায়, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করে আসতো। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম আরও বেড়ে যেত। গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসবের আগে আগে জাল টাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি জাল টাকা বাজারে ছেড়েছে তারা।
উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ফাতিমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকার তৈরি করার সময় সহযোগীসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তবে ঐ সময় তার স্বামী রহিম পালিয়ে যায়। এর আগে তারা বেশ কয়কবার জাল টাকা অথবা মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল।