প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছে টাকা দাবি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন কবির নামে এক ব্যক্তিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান আসামিকে রোববার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করে ১০ দিনের জন্য রিমান্ড আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মোহাম্মদ জসিম পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন।
এদিন কুমিল্লা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন কিছুদিন ধরে বন ও পরিবেশমন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন। কুমিল্লার কামাল হোসেন নামে এক আইনজীবীর কাছ থেকে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় ধারণ করে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেনও।
এই চক্রের সদস্যরা প্রতারণার অংশ হিসেবে উল্লিখিত মন্ত্রী এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে কখনও ভয়েস কল বা কখনও মেসেজের মাধ্যমে টাকা দাবি করে থাকেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির চাকরি বা বদলি করবে বলে মোটা টাকা দাবি করে থাকেন।
কেউ অজ্ঞাত ব্যক্তির কথামতো টাকা দিতে অস্বীকার করলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি ও সামাজিকভাবে মানসম্মান ক্ষুণ্ন করবে বলে হুমকিও দেয়া হতো গিয়াস উদ্দিনের চক্র থেকে। অনেকে মানসম্মানের ভয়ে আসামিকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দিয়ে দিতেন।
ওই ঘটনায় পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করে। এই মামলাতেই গিয়াসকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।