বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ভয় জন্মেছে, বের হচ্ছে না মানুষ

  •    
  • ১০ জুলাই, ২০২১ ১০:৩৭

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজ গেট, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায় অন্য দিনের তুলনায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ অনেক কম। রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাত্রীর জন্য পথচেয়ে আছেন রিকশাচালকেরা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মানুষের মধ্যে ভয় দানা বেঁধেছে। সড়কগুলোতে কমেছে মানুষের চলাফেরা। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে কমেছে গাড়ি চলাচলও।

শাটডাউনের দশম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত চেকপোস্টগুলোতে দেখা যায়, অলস সময় কাটাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তারা বলছেন, করোনায় প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে এখন ভয় দেখা দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেট হয়ে বসুন্ধরা শপিংমলের সামনে দিয়ে হাতিরঝিল হয়ে বাড্ডা আসার পথে কয়েকটি চেকপোস্টে চার-পাঁচজন করে পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তবে গাড়ির সংখ্যা খুব কম থাকায় আয়েশেই দাঁড়িয়েছিলেন তারা।

যেসব এলাকায় গার্মেন্টস রয়েছে, সে সকল এলাকার গার্মেন্টস কর্মীদের সকালে গার্মেন্টসে যেতে দেখা যায়। মোড়ে মোড়ে অফিসগামী কিছু লোক দেখা যায়, রিকশা বা অফিসের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজ গেট, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায় অন্য দিনের তুলনায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ অনেক কম। রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাত্রীর জন্য পথচেয়ে আছেন রিকশাচালকেরা।

চেকপোস্টগুলোতে খুব একটা কড়াকড়ি নেই। ছবিটি মেরুল বাড্ডা থেকে তোলা

আশানুরূপ যাত্রী না পাওয়ায় হতাশার কথা জানালেন রিকশাচালক আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, ‘ভাই, মানুষ এহন ঘর থেইক্যা বেরোয় না। তাই যাত্রী নাই। প্রতিদিন যেভাবে মানুষ মরতেছে তাতে সবাই ভয়ে আছে। আমারও ডর লাগে। কিন্তু কী করব কন, পেট তো চালাতে হবে।’

উত্তরা থেকে বাড্ডা আসতে এয়ারপোর্ট ও কুড়িল ফ্লাইওভারের সামনে চেকপোস্ট চোখে পড়ে। তবে এই চেকপোস্ট গুলোতে শুধু মোটর সাইকেল চেক করতে দেখা যায়।

উত্তরার বাসিন্দা ও বাড্ডার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেহরিন জাহান নিউজবাংলাকে বলেন, উত্তরা থেকে আসতে এয়ারপোর্টের সামনের চেকপোস্টে শুধু মোটর সাইকেল চেক করতে দেখা যায়। প্রাইভেট কার ওভাবে চেক করতে দেখা যায় নাই। রাস্তায় রিকশার রাজত্ব চলছে। মাঝে মাঝে দুই-একটা প্রাইভেট কার চোখে পড়ে। সাধারণ মানুষকেও ওভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।

মিরপুর এলাকায় একটু মানুষের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। তবে তাদের মধ্যে একটা বড় সংখ্যা গার্মেন্টস কর্মী। বনানী ও গুলশান চেকপোস্টেও ওভাবে গাড়ি চেক করা হচ্ছে না।

গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রিয়াদুল ইসলাম। থাকেন মিরপুর-১। তিনি বলেন, আজ রাস্তায় লোক অন্য দিনের তুলনায় লোকজন কম। পুলিশের তৎপরতাও কম।

রাজধানীর কারওয়ান এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের রয়েছে মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা। নেই স্বাস্থবিধি মানার বালাই। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও সেটা সঠিকভাবে পরছেন না। সবজি বাজার থেকে শুরু করে মাছে আড়ৎ সবখানেই মাস্ক পরার ক্ষেত্রে অনীহা চোখে পড়ে।

করোনা নিয়ে কেবল উদাসীনতা দেখা গেল রাজধানীর কাওরান বাজারে

রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় সাধারণ মানুষের আড্ডাও চোখে পড়েছে। অনেক এলাকায় দেখা যায় চায়ের দোকান খোলা। মানুষ চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন, সঙ্গে আড্ডা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলমান শাটডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে।

বাড্ডা পুলিশ চেকপোস্টের পুলিশ সার্জেন্ট দেবপ্রিয় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে বন্ধের দিন হওয়ায় রাস্তায় মানুষ কম বের হয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়িও আজকে কম। আমরা প্রতিদিনের মতো আজকেও চেক করছি। অপ্রয়োজনে কেউ বাসা থেকে বের হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা ছাড়া, মানুষের মধ্যে ভয় বেড়েছে। তারা কম বের হচ্ছে।’

শাটডাউন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শাটডাউনের সময়টায় কেউ অকারণে ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এমন কাউকে পাওয়া গেলে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

তাই করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ায় প্রতিদিনই কয়েক শ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। করা হচ্ছে জরিমানা।

এ বিভাগের আরো খবর