নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে টিকটক হৃদয়ের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৮ আগস্ট দেয়া হবে।
টিকটক হৃদয় বাবুসহ এ মামলার আসামি সংখ্যা চার।
শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফাত আরা সুলতানা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় টিকটিক হৃদয়সহ চারজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা মামলাটি করেন।
তিনি থানায় করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামির সহযোগিতায় টিকটক হৃদয় বাবু তার কিশোরী মেয়েকে ভারত পাচার করে দেয়। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সিদ্দিক মাস্টারের ঢালের একটি বাসায় ২ মেয়ে, ১ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ভাড়া থাকেন।
তার বড় মেয়ে বিজিপ্রেস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সে মাঝেমধ্যে তার মা ও ছোট বোনকে নিয়ে হাতিরঝিল এলাকায় ঘুরতে যেত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সেখানে কয়েকজন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
তাদের মধ্যে মগবাজারের হৃদয় বাবু নামে একটি ছেলে ছিল।
সে আরও কয়েকজন ছেলে-মেয়েসহ টিকটক শুটিং করতো।
বিষয়টি জানার পর মেয়েকে নিষেধও করেন তিনি।
এরপর গত ১৭ মার্চ আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে তার মেয়ে ৩০ মিনিটের জন্য হাতিরঝিলে ঘুরে আসবে বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
এরপর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফিরে না আসায় নিকটাত্মীয় ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ করেন তারা।
তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে সম্প্রতি ভারতে পাচারের পর পালিয়ে আসা এক কিশোরীর নির্যাতনের বর্ণনা তিনি শোনেন।
ওই কিশোরীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন।
একপর্যায়ে পালিয়ে আসা কিশোরী তার মেয়ের ছবি দেখে চিনতে পারে।
দেশে ফিরে আসা ওই কিশোরী ভারতের আনন্দপুরের একটি বাসায় বাদীর মেয়েকে দেখেছে বলে নিশ্চিত করে।
এই মামলার প্রধান আসামি ভারতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া টিকটক হৃদয় বা হৃদয় বাবু। ওই কিশোরীর বাবা বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করেন।