রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি বাসায় অটোরিকশার চার্জার বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচরের আহসানবাগ এলাকায় শুক্রবার ভোররাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুনে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ না কাটতেই ঢাকায় বিস্ফোরণে দগ্ধের খবর এলো।
ওই পাঁচজন হলেন ইজিবাইকচালক আব্দুল মতিন, তার স্ত্রী গৃহিণী ইয়াসমিন আক্তার ময়না, দুই মেয়ে আয়শা ও মায়শা এবং ময়নার ভাগনে আবুল খায়ের রায়হান।
তাদের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। পাঁচজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ রায়হান জানান, ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই ঘুম ভেঙে গেলে চারদিকে আগুন দেখতে পান তিনি। বিস্ফোরণে কক্ষের দরজাও ভেঙে গেছে। পরে তারা দৌড়ে বাসার বাইরে চলে যান। তবে এর আগেই শরীর পুড়ে যায়।
তিনি জানান, মতিন প্রতিদিন বাসাতেই অটোরিকশা চার্জ করতেন। অটোরিকশাটি বাসার বাইরে রেখে তার চার্জার কক্ষের ভেতরে বিদ্যুতের সঙ্গে সংযোগ করতেন। সেই চার্জার থেকেই ভোরে বিস্ফোরণে দগ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে এর আগে কখনো ওই বাসায় একই ঘটনা ঘটেনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রায়হান ছাড়া বাকি চারজনের অবস্থাই গুরুতর। বড় মেয়েটি একটি মাদ্রাসায় পড়ে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, মতিনের শরীরের ৯২, ময়নার ৯৫, আয়শার ৪৬, মায়শার ৪২ ও রায়হানের শরীরের ১৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রায়হান বাদে বাকি চারজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।