বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেঙ্গু: ভবনে পানি জমে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১৯:৩১

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যে কোনো ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে সহায়ক ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত, নির্মাণাধীন বা ব্যবহার্য ভবনে পানি জমিয়ে রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকার মিন্টোর রোডের সরকারি বাসভবনে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যে কোনো ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে সহায়ক ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিন দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে এডিস মশা প্রজননে সম্ভাবনা বেশি থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবন অথবা বাসার ছাদ, আঙিনা, ফুলের টব, ফ্রিজ-এয়ারকন্ডিশনে কোনো অবস্থাতেই যেন জমা পানি না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

জমে থাকা পানিতে লার্ভিসাইড অথবা দশ হাজার বর্গফুট স্থানে আড়াই শ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মশার প্রজনন ধ্বংস করা সম্ভব বলেও জানান মন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষকে বার বার এসব বিয়য়ে সচেতন করার পরেও অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি করপোরেশনের দশ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে এবং আগামীকাল থেকে তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বা জরিমানা করবেন।’

২০১৯ সালের ডেঙ্গুর ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ বছরও মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত লোকবল, কীটনাশক, ফগিং মেশিন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়েছে।’

অনেক নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘এখন দরকার মানুষের সচেতনতা। সচেতন না হলে প্রতিরোধ করা কঠিন হবে। শুধু অভিযান চালিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’

সোমবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৩৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এডিস মশার প্রকোপ একটু বেশি বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর