সরকারঘোষিত শাটডাউনের বৃহস্পতিবার ছিল অষ্টম দিন এবং বর্ধিত সপ্তাহের প্রথম দিন।
পুরান ঢাকার হাজারীবাগ কামরাঙ্গীরচর থেকে শুরু করে লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানার সর্বত্র ছিল প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায় অধিকাংশ লেন সড়কেই যানজট।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে খোলা রয়েছে চায়ের দোকান।
লালবাগ থানা ও র্যাব-১০-এর অফিসের মোড়েও খোলা রয়েছে চায়ের দোকান।
এসব জায়গায় বিধিনিষেধ পালনে বাধ্য করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
গোটা এলাকা ঘুরে সোয়ারীঘাটে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মর্যাদার একজন সদস্যকে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
পুরান ঢাকায় প্রায় সব চায়ের টং খোলা দেখা যায়। এগুলোতে ক্রেতার সংখ্যাও মন্দ ছিল না। ছবি: নিউজবাংলা
কিন্তু এলাকার সর্বত্র ছিল রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং পিকআপ ভ্যানের আনাগোনা। এসব ছাড়া ভারী মালামাল পরিবহনের গাড়ির কোনো কমতি ছিল না সড়কে।
পুরান ঢাকার পশ্চিম শহীদনগর, বউবাজার (নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গলি), লালবাগের রাজ নারায়ণ ধর রোড, শ্মশান ঘাট, কেল্লার মোড়, চকবাজার, ইসলামপুর সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেন, আশেক লেন, জিন্দাবাহার, তাঁতীবাজার, খাজা দেওয়ান পঞ্চায়েত গলি, বকশীবাজার, ঢাকেশ্বরী মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, আজিমপুর ছাপরা মসজিদ, পোস্তা, শায়েস্তাগঞ্জ লেন, পুরান জেলখানার আশপাশের এলাকা, নাজিম উদ্দীন রোড, নিমতলী, কায়েতটুলী লেন, উর্দু রোড, পাকিস্তান মাঠ, লালবাগ মেইন রোড, মিটফোর্ড রোড, প্রসন্ন পোদ্দার লেন, রাখাল চন্দ্র বসাক লেন, রাধিকা মোহন বসাক লেন (নাস্তার গলি), বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, আগামসি লেন, ধোলাইখাল, টিপু সুলতান রোড, ওয়ারী র্যাংকিং স্ট্রিট, ওয়ারী স্ট্রিটসহ সব জায়গাতেই ছিল কমবেশি যানজট।
পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই দেখা যায় মাস্ক ব্যবহারে অনীহা।
মো. জসিম নামের এক ব্যক্তিকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আল্লায় ধইরা টান দিয়া উঠায় লইয়া গেলে সরকার কি বাঁচাইয়া দিতে পারব নাকি? এত বড্ডা বড্ডারে লইয়া যাইতেছে, তা সরকার, হাসপাতাল কিছুই তো করবার পারে নাইকা।’
অপরদিকে খোলা রাখা খাবার হোটেল ও মুদি দোকানিরা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন।
লালবাগ বেড়িবাঁধ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি যাতায়াত করতে দেখা গেলেও তাদের কোনো তৎপরতা ছিল না।
তবে মানুষের চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক দেখা যায়।