বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার তিন ‘জঙ্গি’ রিমান্ডে

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১৮:৪১

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানায় র‍্যাবের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের (জেএমবি) তিন ‘সক্রিয়’ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালতে রিমান্ডের আদেশ দেয়।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে বামসি ব্যারেক ওরফে মেজর খালিদ, রবিউল ইসলাম ওরফে ওসমান এবং নাঈম মিয়া।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) (নিরস্ত্র) গোলাম মর্তুজা পল্লবী থানায় র‍্যাবের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

এসময় তাদের আরও দুই সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিস্ফোরক জাতীয় গুড়ো বস্তু ও বোমা তৈরির প্রিন্টেড নথি পাওয়া যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রাজধানী ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশে তারা সেখানে একত্রিত হয়েছিল।

তারা আরও জানায়, সাব্বির আহম্মেদ বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর এবং সামরিক শাখা ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সে তার সহযোগী গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের নিয়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও কুড়িগ্রামসহ রাজধানীতে দীর্ঘদিন নতুন সদস্য সংগ্রহে কাজ করে আসছিলেন।

রবিউল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনে সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম করে আসছেন এবং নাইম মিয়া এ বছর উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কাছে থাকা আরও বিপুল পরিমান বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর