মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-মার্কসবাদী)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুবিনুলের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেয়া হয় তার দেহ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিস্থলের পাশে মুবিনুলের শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করা হয়।
এতে মুবিনুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন ছাত্র-যুব, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
৮৭ বছর বয়সী মুবিনুল হায়দার অবিবাহিত ছিলেন। তাই স্বজনদের পক্ষ থেকে তার ভাগনে কাজী জাহাঙ্গীর উদ্দিন আহমেদ, বাম জোট ও দলীয় নেতা-কর্মীরা তার দেহ হস্তান্তর করেন।
তার দেহ গ্রহণ করেন অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেগুপ্তা কিশওয়ারা।
দেহ গ্রহণের সময় তিনি বলেন, ‘উনি আমাদের স্টুডেন্টদের জন্য তার বডি দান করেছিলেন। আমরা সাধারণত এখন বডি কম পাই। আমাদের স্টুডেন্টদের অনেক উপকার হবে। আমরা আজকেই প্রসেস শুরু করব।’
কমরেড মুবিনুল হায়দারের দেহ গ্রহণ করছেন অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সেগুপ্তা কিশওয়ারা। ছবি: নিউজবাংলারাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান রাজনীতিক মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর।
মুবিনুল গত ১৪ মার্চ টয়লেটে পড়ে গিয়ে মাথায় ও মেরুদণ্ডে আঘাত পান। স্নায়ুতে চাপ লাগার কারণে তার দুই হাত, দুই পা আংশিক অবশ হয়ে গিয়েছিল। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সবশেষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জুন তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিস্থলের পাশে মুবিনুল হায়দার চৌধুরীকে শ্রদ্ধার আয়োজন। ছবি: নিউজবাংলামুবিনুল হায়দার ভারতের কমিউনিস্ট দল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টারের (এসইউসিআই) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি দেশে ফেরেন।
১৯৮০ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ভেঙে বাসদ হওয়ার পেছনে মুবিনুল হায়দারের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
২০১৩ সালে খালেকুজ্জামানের বাসদ থেকে বেরিয়ে বাসদ (মার্কসবাদী) গঠন করেন মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।