বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিকশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ি, শিথিল নজরদারি

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২১ ১৩:০৭

‘গত কয়েক দিনের থেইকা আইজকা ভালোই লোকজন দ্যাখতাছি। আইজকা ভাড়াও ভালো পাইছি। সকাল থেইকা দুপুর পর্যন্ত আমি রাস্তায় আছি। মানুষের কী দোষ? হ্যারা তো কামের লাইগাই বাইরায়।’

বিমানবন্দর সড়ক। খিলক্ষেতের আগে পুলিশের তল্লাশিচৌকি। গাড়ি ছাড়া হচ্ছে একটা একটা করে। পেছনে দীর্ঘ লাইন। দেখলে মনে হবে স্বাভাবিক দিনের যানজট। কিন্তু চৌকি ছাড়িয়ে সামনের সড়ক ফাঁকা। পুলিশ প্রাইভেট কার দেখছে কিন্তু আটকাচ্ছে না। কিন্তু বাইক পেলেই থামিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

রামপুরা ডিআইটি রোড দিয়ে কাকরাইলের দিকে এগিয়ে যেতে আর কোথাও চোখে পড়েনি পুলিশের তৎপরতা। রিকশা আর ক্ষণে ক্ষণে প্রাইভেট কার ছাড়া সড়কে চোখে পড়ে মালবাহী পিকআপ ভ্যান। মাঝে মাঝে অ্যাম্বুলেন্স। দুই পাশে খাবারের দোকান ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ।

ফুটপাতে পথচারীর সংখ্যাও কম নয়। যাদের দেখে শ্রমজীবী বলে মনে হয়। তাদের প্রায় কারও মুখেই মাস্ক নেই। আরও এগিয়ে গুলিস্তানের দিকে এসে দেখা গেল, রিকশার ছড়াছড়ি। মোড়ে মোড়ে তিন চাকার যানটির জটলা। তবে যাত্রী কম।

এই হলো অষ্টম দিনের ঢাকা শহরের সার্বিক পরিস্থিতি। বাইরে আসা নিষেধ। কিন্তু কারও কারও একেবারেই উপায় নেই। পুলিশ বাধা দিচ্ছে—এমন দৃশ্য ২০ কিলোমিটার পথচলায় দেখা যায়নি খুব একটা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, কলেজগেট, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাবুবাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক, কাকরাইল, মতিঝিল ও বাড্ডা ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় আরও বেড়েছে।

কারওয়ান বাজার এলাকার রিকশাচালক সাব্বির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনের থেইকা আইজকা ভালোই লোকজন দ্যাখতাছি। আইজকা ভাড়াও ভালো পাইছি। সকাল থেইকা দুপুর পর্যন্ত আমি রাস্তায় আছি। মানুষের কী দোষ? হ্যারা তো কামের লাইগাই বাইরায়।’

লকডাউনের অষ্টম দিনে মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শান্তিনগর মোড়ের ট্রাফিক পুলিশের কন্সটেবল মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তায় রিকশা বেশি। দুই একটা প্রাইভেট কার আসে। জরুরি হলে ছেড়ে দিই। আর রিকশাকে বাধা দেয়ার কিছু নাই। তাদের তো চলাচলের নিয়ম আছে।’

পণ্যবাহী টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক যেখানেই দাঁড়াচ্ছে, সেখানেই মানুষের জটলা দেখা গেছে। এই ট্রাকের সব পণ্যের দাম বাজার দরের চেয়ে কম। এমনিতেই টিসিবির পণ্যের চাহিদা বেশি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে হয়। লকডাউনের কারণে লাইন আরও দীর্ঘ হয়েছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলমান শাটডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর দিনই রাস্তাঘাটে ভিড় বাড়তে দেখা গেল। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে শাটডাউনের বিধিনিষেধ।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে ১ জুলাই থেকে চলছে লকডাউন, যা সব মহলে পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে।

শাটডাউন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শাটডাউনের সময়টায় কেউ অকারণে ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এমন কাউকে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিধিনিষেধ এবারও কার্যকর থাকছে।

এ বিভাগের আরো খবর